এই প্রসঙ্গে মস্তিষ্ক দানের ধারণা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খান স্যার বলেন যে ‘‘কিডনি বা লিভারের মতো মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। যদি কোনও পরিস্থিতিতে আমার মস্তিষ্ক তোমার ভিতরে স্থাপন করা হয়, তাহলে তুমি সম্পূর্ণ আমার মতো হয়ে যাবে। শরীরটা তোমার হতে পারে কিন্তু তুমি আমার মতো সব কাজ করতে শুরু করবে। ভেতর থেকে তুমি ‘খান স্যার’ হয়ে যাবে। তুমি হঠাৎ করেই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবে এবং আমার মতো ক্লাস বা মিটিংয়ে যোগ দিতে শুরু করবে। তুমি তোমার পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারবে না। একই সঙ্গে, আমার বাবা-মাকে দেখে তুমি তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করবে। লোকেরা বলতে শুরু করবে যে খান স্যারের ভূত তার ভেতরে প্রবেশ করেছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন : ইনসুলিন গাছ! রোজ জাস্ট ২ টো পাতা! এভাবে খেলেই ব্লাড সুগারের জলাঞ্জলি! সামান্য যত্নে বাড়িতেই বাড়বে তরতরিয়ে
কিডনি এবং লিভারের মতো অঙ্গ দান সম্ভব, কিন্তু মস্তিষ্ক দান নয়। কারণ আমার যাকে মন বলি, বিজ্ঞানের ভাষায় সেটাই মস্তিষ্ক৷ দেহের এই অঙ্গই আমাদের চালনা করে৷ ঠিক করে দেয় আমরা কী ভাবনা চিন্তা করব, কী কথা বলব থেকে শুরু করে প্রতি মুহূর্তে আমাদের প্রতি মুভমেন্ট৷ তাই মস্তিষ্ক পরিবর্তন করা মানে একজন মানুষকেই আমূল পাল্টে দেওয়া৷ গবেষণার জন্য মৃত মানুষের মস্তিষ্ক দান করা যেতে পারে, প্রতিস্থাপনের জন্য নয়৷ কল্পবিজ্ঞানের গল্প বা সিনেমা ছাড়া মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন রূপায়িত করা যায় না৷