পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর। সুদৃশ্য প্রকৃতি। সুন্দর পরিবেশ। এমন এলাকাতেই বিলাসবহুল হোটেল গড়ে ওঠে। পর্যটকরা আসেন। হোটেলের বারান্দা থেকে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেন। এই কারণেই সেই সব রুমের চড়া ভাড়াও দিতে হয়।
advertisement
কিন্তু ছোট বস্তি এলাকা। চারপাশে ঘিঞ্জি ঝুপড়ি। সেখানে যদি কেউ হোটেল খুলে বসেন, তাহলেই চিত্তির। বারান্দা থেকে বাইরে তাকালে শুধু বস্তিই চোখে পড়বে। তার জন্যে আবার পয়সা খরচ কী! কিন্তু সব সময়ই যে এমনটা হবে তা কিন্তু নয়।
ছোট মহল্লার মধ্যে তৈরি হোটেলেই গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বারান্দা থেকে যে দৃশ্য তিনি দেখলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ। এখান থেকে যে আদৌ এমন কিছু দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা স্বপ্নেও ভাবেননি। সেই দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি।
ইউরোস পোলাজার (@your_passage) পেশায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ইনস্টাগ্রামে ৩ লাখের বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে তাঁর। মূলত ট্রাভেল ব্লগার। দেশ-বিদেশে ঘোরেন। আর সেই সব জায়গার ভিডিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে।
কিছুদিন আগে মিশরে ঘুরতে গিয়েছিলেন ইউরোস পোলাজার। ছোট বস্তির মধ্যে তৈরি একটা হোটেলে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন, শুধু রাতটুকুই হোটেলে কাটাবেন। বাকি সময়টা ঘুরে দেখবেন শহর। কিন্তু হোটেলের রুমে ঢুকে জানলা খুলতেই, তিনি কার্যত বাকরহিত।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ছোট বস্তি। ভাঙাচোরা বাড়ি। মাঝখানে রাস্তা। সেখান দিয়ে নিজের ব্যাগ টেনে তিনি হোটেলে ঢুকছেন। পুরো এলাকাটাই যেন কয়েকশো বছরের প্রাচীন। হোটেলের অবস্থাও তথৈবচ। আদ্যিকালের লিফট। হোটেলটি দেখতেও সাধারণ। কোনও চাকচিক্য নেই। এরপর নিজের রুমে ঢুকলেন ইউরোস পোলাজার। জানলার পর্দা সরালেন। দেখলেন, তাঁর চোখের সামনেই মিশরের পিরামিড।
এটাই হোটেলের বিশেষত্ব। এই ভিডিও পোস্ট করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ইউজার দেখেছেন ভিডিওটি। কমেন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। এক ইউজার লিখেছেন, “পরিশ্রম সার্থক। এত কষ্ট করে যাওয়ার পর এমন দৃশ্য দেখতে পেলে মন এমনিই ভাল হয়ে যাবে। নাহলে ঘরের কোণে বসে আপনাকে চোখের জল ফেলতে হত।” আরেক ইউজার লিখেছেন, “দূর্দান্ত ভিউ। মিশরে গেলে আমিও এই হোটেলে থাকতে চাই।”