থাইল্যান্ডে রাতভর ফেরি ভ্রমণ করেছিলেন গ্যাবি নামে ওই সোলো ট্র্যাভেলার। @vidacongabbi নামে অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে নিজের সেই ভয়ঙ্কর সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ওই মহিলা পর্যটক। কোহ তাও থেকে সুরাত থানি যেতে এক রাতের ফেরিতে চেপে বসেছিলেন গ্যাবি। সেখানে একটি বাঙ্ক বেড পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আসলে এমনটাই তাঁকে বলে দিয়েছিলেন তাঁর এক বন্ধু। কিন্তু বাস্তব ঘটনা অন্য কিছু ছিল।
advertisement
সফরটা ছিল ভয়ঙ্কর!
ওই বোটে গ্যাবিকে ঘুমোনোর জন্য আপার ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একচিলতে সেই জায়গার চারপাশে ছিল না কোনও দেওয়াল বা প্রাচীর। শুধু ছিল একটি খোলা রেলিং। এখানেই শেষ নয়, ঘুমোনোর জন্য আরামদায়ক কোনও গদিও মেলেনি। বরং দেওয়া হয়েছিল পাতলা একটি ম্যাট্রেস। বোটের খোলা রেলিংয়ের নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল সমুদ্রের জলরাশি। অন্যান্য যাত্রীরাও সার বেঁধে কীভাবে খোলা ডেকে পাতলা ম্যাট্রেসের উপর শুয়ে রয়েছেন এবং কীভাবে তার পাশ দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে বয়ে চলেছে সমুদ্রের জলরাশি, সেটা নিজের ভিডিও-য় দেখিয়েছেন গ্যাবি। তিনি বলেন যে, “সত্যি বলতে কী, আট ঘণ্টার সেই সফর একেবারেই আরামদায়ক ছিল না! এটা জীবনের এমন একটা মুহূর্ত ছিল, যেটা একেবারেই ভাল ছিল না। যদিও এই ধরনের মুহূর্তের কথা মাথায় এলেই পরে হাসিই পাবে।” গ্যাবি আরও বলেন যে, এই বিপজ্জনক ভয়ঙ্কর সফর তাঁকে এক দুর্দান্ত গল্প উপহার হিসেবে দিয়েছে।
মানুষের প্রতিক্রিয়া:
যদিও এই সফরটাকে ভয়ঙ্কর বলে মনে হতে পারে। তবে গ্যাবি দাবি করেন, এই সফরটার ৮০ শতাংশ ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাইরাল ভিডিওতে বহু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটা যদি আমি হতাম, তাহলে আমি ভয়েই মরে যেতাম।” অন্য একজন লিখেছেন, “১৫ বছর আগে আমি একবার এই পথেই গিয়েছিলাম। আর তখনও এরকম পাতলা ম্যাট্রেস পাতা ছিল আর খোলা শৌচাগারে যেতে হয়েছিল।” কিন্তু এরকম বিপজ্জনক অবস্থায় শৌচাগারে যাওয়ার বিষয়ে গ্যাবিকে প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। জবাবে গ্যাবি বলেন যে, “একবারের জন্যও আমি নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারিনি। আর আপনারা শৌচাগারের অবস্থা দেখতেও পারবেন না।”