কথা হচ্ছে জাপানের নাগোয়া নামের এক জায়গার Shachihoko-ya নামের একটি রেস্তোরাঁর৷ ২০১২ সালে প্রথম এই ‘অদ্ভুতুড়ে সার্ভিস’ শুরু করেন রেস্তোরাঁর মালিক৷ রেস্তোরাঁর অন্যান্য খাবারের তালিকার পাশাপাশি, মেনু কার্ডে রাখা হয় এক অদ্ভুত ডিশ৷ নাম, ‘নাগোয়া লেডিস স্ল্যাপ’৷ দাম জাপানি মুদ্রায় ৩০০ ইয়েন৷ ভারতীয় মুদ্রায় ১৭০ টাকা৷ অর্থাৎ, কোনও খদ্দের চাইলে ১৭০ টাকা দিয়ে নাগোয়ার মহিলার চড় খেতে পারেন৷ উত্তর খাবার বৈকী!
advertisement
ভাইরাল ভিডিয়োর তথ্য অনুযায়ী, ‘‘জাপানি ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিমোনো পরিহিত রেস্তোরাঁর ওয়েট্রেস যত জোড়ে তাঁর খদ্দেরকে থাপ্পড় মারেন, তত বেশি সেই খদ্দের উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ যাঁরা চড় খেতে আসেন, তাঁরা বলেন, এতে তাঁদের ব্যথা লাগে না৷ বরং, থাপ্পড় খেয়ে অনেক স্ট্রেস রিলিফ হয়৷’’
প্রথম প্রথম রেস্তোরাঁর মহিলাকর্মীদের দিয়েই এই থাপ্পড় খাওয়াতেন রেস্তোরাঁর মালিক৷ পরে শুধুমাত্র চড় মারার জন্যই তরুণীদের নিয়োগ করা শুরু হয়৷ চড় খেতে আসার খদ্দেরও বাড়ে হুহু করে৷ এমনকি, পছন্দের মহিলার হাতে একের পর এক থাপ্পড় খাওয়ার জন্য পকেট থেকে আরও ২০০ ইয়েন বেশি খসাতেও রাজি হন অনেকে৷ অর্থাৎ, পছন্দের মহিলার হাতে থাপ্পড় খাওয়ার দাম হল ৫০০ ইয়েন৷
তবে, অনেকেই ভাবছেন, এই রেস্তোরাঁয় শুধু পুরুষদেরই আনাগোনা বেশি৷ এমনটা কিন্তু নয়৷ গোটা বিষয়টার সঙ্গে খানিক যৌনতা জড়িয়ে থাকলেও, এই রেস্তোরাঁয় রিল্যাক্স হতে চড় খেতে আসা মেয়েদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়৷
তবে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই রেস্তোরাঁর এই অদ্ভুতুড়ে সার্ভিসের ভিডিয়ো চতুর্দিকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মালিক৷ তাই আপাতত, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পয়সা নিয়ে চড় খাওয়ার পরিষেবা আপাতত বন্ধ রেখেছেন তাঁরা৷ তাই ওই প্রত্যাশা নিয়ে রেস্তোরাঁয় গেলে হতাশ হতে হবে তাঁদের৷