সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই চা স্টলের চারপাশে ব্যানার এবং পোস্টারে স্লোগান লেখা থাকে- “যব তক না মিলতা নেওয়া, তব তক উবালতি রাহেগি চায়ে” (যতক্ষণ না আমি ন্যায়বিচার পাব, চা ফুটতে থাকবে)। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে তিনি মীনাক্ষী মালভকে বিয়ে করেন। তাঁরা একসঙ্গে মৌমাছি পালন ব্যবসা শুরু করেন। স্থানীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেন এবং স্বীকৃতি অর্জন করেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ২০২১ সালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তাদের মধু উদ্যোগের উদ্বোধন করেন।
advertisement
তবে তার পরের বছরই, ২০২২ সালে, কৃষ্ণকুমারের স্ত্রী তাঁদের বাড়ি ছেড়ে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে আসেন বলে অভিযোগ। কয়েক মাস পরে, তিনি স্বামী কৃষ্ণকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। চা বিক্রেতা যুবকের অভিযোগ, “মিথ্যা মামলার কারণে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গত তিন বছর ধরে, আমি ন্যায়বিচারের জন্য আদালত থেকে আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার বৃদ্ধা মা আমার উপর নির্ভরশীল। আমি একটি টিনের চালার নীচে থাকি এবং আমার কাছে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। অনেকবার আমি আমার জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু তারপর মনে পড়ল আমিই আমার মায়ের একমাত্র ভরসা,” এক সর্বভারতীয় চ্যানেলকে তিনি বলেন । আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরে তিনি ক্লান্ত বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ, এখনও ন্যায়বিচারের দেখা পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘এখন আমি ক্লান্ত। চায়ের দোকান চালিয়েই এই আইনি লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
তবে তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষীর অভিযোগ, “সে আমার বাবার কাছে জমি কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। আমরা যখন টাকা দিতে অস্বীকার করি, তখন সে আমাকে মারধর করে। তার পর আমি আমার বাবার বাড়িতে ফিরে আসি। আমি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত, তবে প্রথমে আমার নামে নেওয়া সমস্ত ঋণ শোধ করতে হবে।”