ঘটনাটি ঘটেছে কিশানগড়ের আরনি থানা এলাকায়। যেখানে ছোট লাম্বা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কানারাম জাট। তাঁর ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অ্যাকাউন্টে তিনি হঠাৎই প্রায় ১৬ লাখ টাকা পেয়ে যান। পাওয়ার পরই যারপরনাই আনন্দিত তিনি। ব্যাস, এই টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত লোন মিটিয়ে ফেলা হল।
যাই হোক, শেষ অবধি ব্যাঙ্কের কতৃপক্ষের বোধোদয় হয়। আসলে নিউ ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির জন্য ফসল বীমা প্রিমিয়াম হিসাবে এই টাকাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত ৩১ ডিসেম্বর কানারামের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণে টাকা চলে যায়।
advertisement
ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ম্যানেজার জিতেন্দ্র ঠাকুর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরানি থানায় এই বিষয়ে এক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি জানান “৩১ ডিসেম্বর, কৃষক কানারাম জাটের অ্যাকাউন্টে ভুলবশত ১৬ লক্ষ টাকা চলে যায়। প্রিমিয়ামের জন্য এই টাকাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্কের ভুলে এটি কানারামের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।”
তিনি আরও জানান, “প্রথম দিকে, আমাদের কর্মীরা বুঝতে পারেননি।’’
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, জাট ২ থেকে ৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার তিনটি পৃথক লেনদেন করেছে। অর্থাৎ ব্যক্তিগত কাজের জন্য তিনি সম্পূর্ণ ১৫ লক্ষ টাকাই তুলে নিয়েছিলেন। ব্যাঙ্কের কতৃপক্ষ ১০ জানুয়ারি এই বিষয়টি বুঝতে পারে। তিনি আরও জানান, ‘‘আমাদের তরফ থেকে কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি অস্বীকার করেছেন।”
ব্যাঙ্কের কতৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। কানারাম জাটের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং ১৬ বিঘা জমির নথি ব্যাঙ্কের কাছে আছে। কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যদি তিনি টাকা ফেরত না দেন, তা হলে তার এই জমি নিলামে তুলে টাকা আদায় করতে ব্যাঙ্ক বাধ্য হবে।
পুলিশ আধিকারিক রামস্বরূপ জানিয়েছেন এই ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ তদন্তের স্বার্থে কৃষকের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানাচ্ছেন।