কেউ যদি দক্ষিণ ভারতে তুষারপাত দেখতে চান, তবে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ছোট গ্রামে যেতে হবে। যার নাম লাম্বাসিঙ্গি, এখানে তুষারপাত দেখা যেতে পারে। যদি কেউ লাম্বাসিঙ্গিতে তুষারপাত দেখতে পান, তবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০০ মিটার উপরে অবস্থিত, লাম্বাসিঙ্গি অন্ধ্রপ্রদেশের কাশ্মীর নামেও পরিচিত। প্রাণবন্ত ফুল আর সবুজের সমারোহের মধ্যে এখানে অনৈসর্গিক তুষারপাত অনুভব করার সুযোগ মেলে। এটি হয় তার উচ্চতা সুবিধার কারণে। এর উচ্চতা একটি অনন্য পরিবেশ তৈরি করে, যা নিম্ন তাপমাত্রার জন্য উপযোগী। শীতের মাসগুলিতে এখানকার তাপমাত্রা পৌঁছে যায় -২°C পর্যন্ত। বিশাখাপত্তনমের চিন্তাপল্লীতে অবস্থিত লাম্বাসিঙ্গি দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র জায়গা যেখানে তুষারপাত হয়।
advertisement
শুধু তুষারপাত নয়, লাম্বাসিঙ্গি নানাবিধ পর্যটন আকর্ষণে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে একটি হল কোঠাপল্লী জলপ্রপাত – যা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য এবং শক্তিকে মনে করাবে। জলপ্রপাতটি একাধিক পাথরের উপর দিয়ে ঝরে পড়ে এবং একটি জলাশয়ে এসে ডুবে যায়। এই স্থানটি রীতিমতো জনপ্রিয় এক পিকনিক স্পট। এছাড়াও লাম্বাসিঙ্গি যাওয়ার পথে একটি হলুদ এবং কালো ফুলের বাগান পড়ে। এখানে, যে কেউ মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্তের শোভা দু’চোখে ভরে নিতে পারেন।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে লাম্বাসিঙ্গিতে গেলে তুষারপাত দেখার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে, যাত্রাপথে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যাবলী-সহ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ লাম্বাসিঙ্গিকে তুষারপাত দেখার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় করেছে। লাম্বাসিঙ্গি যাওয়ার নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর। এটি লাম্বাসিঙ্গি থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যে কেউ সরাসরি ট্রেনে করেও পৌঁছতে পারেন আনাকাপল্লেতে, যা লাম্বাসিঙ্গি থেকে ৭২ কিমি দূরে অবস্থিত। সেখান থেকে গাড়ি করে সোজা চলে আসা যেতে পারে ভারতের বিস্ময়কর এই অপরূপ গ্রামে।