কিন্তু এই অভিনব প্রেম কাহিনীর সূচনা পর্বটা কেমন ছিল। এই প্রসঙ্গে অতীতের স্মৃতি ঘেঁটে ব্রিজেট জানান, তাঁর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের অভিজ্ঞতা তেমন ভাল ছিল না। ১৬ বছর বয়সেই দেখেশুনে বিয়ে হয়েছিল ব্রিজেটের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাঁকে নানা অশান্তি সহ্য করতে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লাঞ্ছনা-গঞ্জনা মেনে নিতে পারেননি ব্রিজেটও। ফলে ভেঙে যায় বিয়েটা। ফলে মন খারাপ থাকত তাঁর। এর পরেই কাকতালীয় ভাবে কারাগারে তাঁর আলাপ হয় টমির সঙ্গে।
advertisement
জেলে আলাপ হলেও টমি কিন্তু আগে থেকেই চিনতেন নিজের প্রেয়সীকে। কীভাবে। ব্রিজেট জানান যে, জেলে যাওয়ার আগে তাঁকে টিকটকে ফলো করতেন টমি। এমনকী ফলো ব্যাক করার জন্য মেসেজও পাঠাতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টমিকে জেলে যেতে হয়। ফলে বহু দিন টমির কোনও মেসেজ পাওয়া যায়নি। এদিকে ব্রিজেটের এক আত্মীয়রও জেল হয়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই টমির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর।
কথোপকথনে বেরিয়ে আসে ব্রিজেটকে আগে থেকেই চিনতেন টমি। এমনকী, ব্রিজেটকে পছন্দ এবং ভালবাসার কথাও জানান তিনি। দু’জনের মধ্যে এবার কথাবার্তা শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে প্রেম। এর পর টমির প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকেন ব্রিজেট।
সামনাসামনি প্রথম আলাপের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে ব্রিজেট বলেন, প্রথম দেখার সময় আমি খুব ভয়ে ছিলাম। হাত-পা কাঁপছিল। কিন্তু টমি সামনে আসতেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। প্রথম দেখাতেই আমায় জড়িয়ে ধরেছিলেন টমি। ওই দিন অনেক কথা হয়েছিল আমাদের মধ্যে। তাঁদের গভীর প্রেমে দেখে মাসে তিন বার করে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এই প্রেম-বিয়ে নিয়ে ব্রিজেটের পরিবার-আত্মীয় পরিজন বেশ অসন্তুষ্টই ছিলেন। সকলেই কড়া নিন্দা করেন তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই সবে কান দিতে নারাজ ব্রিজেট। তিনি এখন টমির প্রেমে পাগল। প্রেমিককে বিয়ে করার অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।