দেশে এখন বিয়ের মরশুম। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বিয়ে লেগেই` রয়েছে। ভারতে বিয়ে শুধু দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক নয়, দুই পরিবারের বন্ধনও। তাই ধুমধাম করে বিয়ে হয়। রীতিমতো উৎসব যেন। আত্মীয়স্বজন আসে। আয়োজনে কোনও খামতি থাকে না।
আরও পড়ুন- ফিক্সড ডিপোজিটে চমক বন্ধন ব্যাঙ্কের ! সেভিংস অ্যাকাউন্টেও মিলছে নজরকাড়া সুদ
advertisement
শিবপুরির আমোলাতে বসেছিল বিয়ের আসর। নববধূকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। আত্মীয়স্বজনের সামনে কয়েক লাখ টাকার গয়না উপহার দেওয়া হয়। বিয়ের পরদিন সকালে শ্বশুরবাড়ি প্রবেশ করেন কনে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত কনের উদ্দেশ্য ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কেউ। সেটা বোঝা গেল সন্ধ্যার পর।
শৌচকর্মের অজুহাতে কেলেঙ্কারি: বিয়ের পরদিন সকালে বরের বাড়িতে আসেন কনে। নববধূকে বরণ করে নেন বাড়ির লোকজন। তারপর থেকে সারাদিন ঠাকুর ঘরে কাটান নবব্ধূ। পূজা-অর্চনা করেন। সন্ধ্যায় কনে জানান, তিনি বাথরুমে যাবেন। বাড়িতেই টয়লেট। অসুবিধা নেই। কিন্তু শৌচকর্মের জন্য কনে বাইরে যাওয়ার আবদার ধরেন।
তবে এতে কারও সন্দেহ হয়নি। সবাই ভেবেছিলেন, কনের বাড়িতে বোধহয় বাইরে যাওয়াই অভ্যাস। তাই আর এতে আপত্তি করেননি কেউ। নবব্ধূ বাইরে চলে যান। কিন্তু শৌচকর্মের অজুহাতে কনে যে কেলেঙ্কারি বাঁধাতে চলেছেন কে জানতেন!
গয়নাগাঁটি নিয়ে উধাও: সন্ধ্যায় বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বাইরে চলে যান নববধূ। কিন্তু তারপর কয়েক ঘণ্টা কেটে যায়। কনে আর ফেরেন না। বরের বাড়ির লোক চিন্তায় পড়ে যান। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু কনের কোনও চিহ্ন নেই।
কিছুক্ষণ পর জানা গেল, কনেকে বিয়েতে যে সমস্ত গয়না দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না। তখনই বোঝা যায়, গয়নাগাঁটি নিয়ে উধাও হয়েছেন নববধূ। বরের বাড়িতে হুলস্থূল। পরদিন সকালে কনের বাড়িতে গিয়ে সাফ জানান বর, পরিবারের মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। তাই নববধূর ছোট বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে হবে। এটাই ক্ষতিপূরণ। কনের বোন ৪ দিন সময় চেয়েছেন। তারপর জানাবেন, তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। এখন কনের ছোটবোনের সঙ্গে বরের বিয়ে হয় কি না সেটাই দেখার।
