তার জেরেই মাসের পর মাস ধরে একে তো জল অপচয়, তার ওপর কুড়ি লক্ষ টাকা জলের সরকারি বিল মেটাতে হল স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ জাপানের মাটিতে। জানা গিয়েছে, জাপানের ইয়োকোসুকা এলাকায় রয়েছে ওই স্কুলটি। স্কুলের ওই শিক্ষকের এমন আজগুবি দাবিতে হতাশ স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
advertisement
আরও পড়ুন-গায়ে হলুদ পর্ব শেষ, গলায় মালা, হলুদ পাঞ্জাবিতে নজর কাড়লেন ৬৬-র অরুণ লাল
জানা গিয়েছে, স্কুলের জলের বিলে এমন অস্বাভাবিক অঙ্কের তদন্ত করতে গিয়েই ধরা পড়ে ওই শিক্ষকের এমন আজগুবি ধারণা এবং গা-জোয়ারি মনোভাবের বিষয়টি। এ বিষয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের সাঁতার শেখার জন্য স্কুলের ভিতর আস্ত একটি সুইমিং পুল রয়েছে। করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে গত দু'বছরে বার কয়েক সুইমিং পুলের জলে ক্লোরিন মিশিয়ে এবং ফিল্টারিং মেশিনের সাহায্যে তা পরিষ্কার করা হয়। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ করে স্কুলের জলের বিল আসে কুড়ি লক্ষ টাকা। অস্বাভাবিক ওই বিল দেখে চোখ কপালে উঠে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের। এত টাকার বিল এল কোথা থেকে? তা নিয়েই শুরু হয় তদন্ত।
আরও পড়ুন-আগামিকাল থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দর, আকাশছোঁয়া ভাড়া বিমানের!
এরপরই করোনা সংক্রমণ রুখতে ওই শিক্ষকের কীর্তির কথা গোচরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই বিষয়ে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, সুইমিং পুলের জলে যাতে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধতে না পারে সেই জন্য ওই শিক্ষক স্কুলের ট্যাপ কল সব সময় খুলে রেখে দিতেন। কারণ তিনি মনে করতেন, নতুন করে জল ভরলে তাতে করোনাভাইরাস বাসা বাঁধতে পারবে না।
তবে ঘটনার সময় অর্থাৎ গত বছর জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ছিল বলে জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ওই সময়ে চুরি করে স্কুলে ঢুকে ওই শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে স্কুলের তরফে। এমনকী, অনেক সময় স্টাফরা জলের ট্যাঙ্কের কলটি বন্ধ করে দিলেও অভিযুক্ত শিক্ষক তা আবার খুলে দিতেন। ফলে ওই চার মাস ধরে যত বার সরকারি ব্যবস্থায় জল এসেছে, ততবারই প্রচুর পরিমাণে জল অযথা অপচয় হয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।