এ ঘটনা আমাদের কাছে অদ্ভুত শোনালেও ভিয়েতনামের মানুষের কাছে এটি একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা কসমেটিক পদ্ধতির মাধ্যমে কানের নীচের অংশে ফিলার লাগিয়ে ইচ্ছামতো তাঁদের কানকে লম্বা এবং বড় করে তুলছেন। আসলে এই দেশে লাফিং বুদ্ধের মতো লম্বা কান থাকা সৌভাগ্যের লক্ষণ বলে বিশ্বাস করা হয়।
advertisement
ঠোঁটের পরিবর্তে কানে ফিলারের প্রবণতা
সম্প্রতি ভিয়েতনামী মিডিয়া Quang Ninh, এখানে একটি বিউটি সালঁর ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের কথা জানিয়েছে, যাঁরা তাঁদের কানে ফিলার লাগিয়ে কানের লতি বড় করতে চাইছেন। এঁরা অনেকেই লাফিং বুদ্ধের মতো কান তৈরির চেষ্টায় রয়েছেন। কেন না, এঁরা বিশ্বাস করেন যে এটি তাঁদের জীবনে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশার অবসান ঘটিয়ে তাঁদের জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনবে। এমন কান থাকলে তাঁদের জীবনে সমৃদ্ধিও আসবে। এই প্রবণতা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিজ্ঞাপন মানুষকে তাদের কানের মাপ পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করছে। এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা বেশিরভাগই মূলত দেখা যাচ্ছে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে পুরুষরা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-নেই আলো, এমনকী জলের ব্যবস্থাও, তাও এই কুঁড়েঘরের দাম উঠেছে ২ কোটি টাকা!
মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাগ্য পরিবর্তন
জীবনে সৌভাগ্য নিশ্চিত করতে কানের ফিলারগুলি নিতে খুব বেশি হলে ১৫-২০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। এটি সাধারণত নিরাপদ সার্জারি বলেই রিপোর্ট করা হয়েছে। ভিয়েতনামের কিছু সালোঁ ফিলারের পাশাপাশি গ্রাহকদের কানের আকার পরিবর্তন করারও গ্যারান্টি দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে কান ফিলার করা হচ্ছে, এর ব্যবহারের ফলে খুব সহজেই কোনও ব্যথা ছাড়াই কানের নীচের অংশ মোটা ও বড় দেখায়। তবে দুর্ঘটনার পরিমাণও এতে কম নেই। কারও কারও কানে আলসারও দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন মাঠে নেমেছেন ভিয়েতনামের চিকিৎসকরা। তাঁরা ক্রমাগত মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। কিন্তু সৌভাগ্যের লোভে তা কতটা সুদূরপ্রসারী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়!