এটি কোনও সায়েন্স ফিকশনের কাহিনীর মতো শুনতে লাগলেও, এই ধরনের রোগের প্রভাব দেখা মিলেছে কানাডায়। কানাডার নিউ ব্রুন্সউইকের (New Brunswick) প্রায় ৫০ জন লোকের মধ্যে এমন অজানা রহস্যময় রোগের প্রভাব দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে এক জন হলেন টেরিলিন পোরেল (Terriline Porelle)। টেরিলিন পোরেল নিজেও ভেবে পাচ্ছেন না যে, কী ভাবে তিনি এমন রোগের কবলে পড়লেন। সব থেকে বড় ব্যাপার হল, মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছেও এখনও পর্যন্ত এই ধরণের রোগের কোনও নাম নেই এবং তার চিকিৎসার ব্যাবস্থাও নেই। মিররের (Mirror) রিপোর্ট অনুযায়ী, আচমকা শুরু হওয়া এই রোগে বিশাল সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা।
advertisement
হাঁটতে হাঁটতে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে রোগী -
৩৩ বছর বয়সী টেরিলিন পোরেলের প্রায় দেড় বছর আগে নিজের পায়ে কিছু ফোঁটা এবং ব্যথার অনুভব হয়। এর পর সেই ব্যথা তাঁর হাতে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে পুরো শরীরে তা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর তাঁর শরীরের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাথাতেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। তিনি কিছুই চিনতে পারেন না। এর পর তিনি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পুরো শরীর চেক-আপ করালেও, ডাক্তারের নজরে কিছু ধরা পড়ে না। তাঁর কোনও ধরনের ডিপ্রেশন না-থাকলেও সেই রহস্যময় রোগের কারণে তিনি খুবই সমস্যায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন-নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর জন্য বন্ধুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাল স্বামী! তার পর ?
নিজের মতো রোগী -
টেরিলিন যখন সেই রহস্যময় রোগ নিয়ে রিসার্চ শুরু করেন, তখন তিনি তাঁর মতো আরও ৪৮ জন রোগীর সন্ধান পান। যাঁদের আচমকা শুরু হয়েছে সেই রহস্যময় রোগ। এর মধ্যে ৩৪ জন রোগীর লক্ষণ টেরিলিনের মতোই। টেরিলিনের মতোই তাঁরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন এবং সব কিছু ভুলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এখনও সেই মানসিক রোগ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি এবং তার চিকিৎসা সম্পর্কেও সকলে অজানা রয়েছে।