সূত্রের খবর, লরা অগলেসবি তাঁর মেয়ে লরেন হেজের পরিচয়পত্র চুরি করেছেন। কারণ তাঁর মেয়ে যে সকল সুবিধা পায়, সেই সব সুবিধা তিনি নিজে পেতে চান এবং তাঁর মেয়ের কলেজে গিয়ে সেখানকার ছেলেদের সঙ্গে রোম্যান্স করতে চান। লরা অগলেসবির এই ধোঁকাবাজি শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে, যখন তিনি ৪৩ বছরের ছিলেন। সেই সময় লরা অগলেসবি আরকানসাসে (Arkansas) বসবাস করতেন।
advertisement
আরও পড়ুন-যৌতুক চাইতেই পাত্রকে গারদে পাঠালেন পাত্রী ! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড়
মেয়ের পরিচয়পত্র চুরি করে মা বানিয়েছেন বয়ফ্রেন্ড:
ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসুরীর ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, লরা অগলেসবি তার মেয়ে লরেন হেজের পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন মেলের মাধ্যমে। লরেন হেজের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তার মা লরা অগলেসবি মিসুরি থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করেন। এর পরে লরা মিসুরীর একটি ছোট শহর মাউন্টেন ভিউতে শিফট করে যান এবং সেখানে তিনি তাঁর মেয়ে লরেন হেজের নাম এবং বয়স চুরি করে নেন। সুতরাং লরেন হেজের পরিচয়পত্রের মাধ্যমে লরা অগলেসবি হয়ে যান লরেন হেজ। সেখানে তিনি সবাইকে জানান যে, তিনি ওয়েস্ট ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন ছাত্রী, যিনি সেখানকার লাইব্রেরিতে কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, সেই সময় লরা অনেক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই যুবকরাও মনে করতেন যে, লরা অগলেসবি এক জন ২২ বছর বয়সি মহিলা।
মেয়ের নামে লক্ষাধিক টাকা ধারও নিয়েছেন:
শহরে থাকা এক দম্পতি নিজেদের বাড়িতে লরা অগলেসবিকে থাকার অনুমতি দেন। সেই দম্পতি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, লরা অগলেসবি নিজেকে ২২ বছরের বলে দাবি করতেন এবং নিজে ১৭ বছর বয়সের মেয়ের মতো অভিনয় করতেন। লরা নিজেকে এক জন সাদা-সিধে বোকা হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরতেন, কারণ তিনি চাইতেন, সবাই যেন তাঁকে পছন্দ করেন। এখানেই শেষ নয়, লরা অগলেসবি নিজের মেয়ের নাম করে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছেন। লরা অগলেসবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে তাঁকে ৫ বছর হাজতবাসের শাস্তি দেওয়া হয়। হাজতবাসের শাস্তি ছাড়াও মেয়ে লরেন হেজের পরিচয় ব্যবহার করার অপরাধে লরাকে ১৩ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।