ভিডিওতে দেখা গেছে যে লোকটি ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে প্রথমে ডিটারজেন্ট পাউডার ঢালেন, তারপর মেশিনটি চালু করে জলে হাত দেল। কিন্তু সে জানত না যে মেশিনে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ লিকেজ হয়েছে। জল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার শরীরে তীব্র বৈদ্যুতিক শক লাগে। এবং সে মেশিনের মধ্যেই আটকে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এই দৃশ্য এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ভিডিওটি দেখা মাত্রই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এবং মুহূর্তের মধ্যেই তিনি মারা যান৷
advertisement
ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন দুর্ঘটনা এই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসেনি। সম্প্রতি লখনউতে, ২৮ বছর বয়সী ইরফান, যিনি একজন ফাস্ট ফুড বিক্রেতা ছিলেন, ওয়াশিং মেশিন মেরামত করার সময় বৈদ্যুতিক শক পেয়ে মারা যান। তাকে লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একইভাবে, ইন্দোরে, পুলিশ হেড কনস্টেবল জওহর সিং যাদব, যিনি ‘যমরাজ’ নামে পরিচিত ছিলেন, তার গরুকে স্নান করানোর সময় বৈদ্যুতিক শক পেয়ে মারা যান। এই ঘটনাগুলি দেখায় যে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অসাবধানতা কতটা মারাত্মক হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে, বিদ্যুৎ শক তখন ঘটে যখন বিদ্যুৎ শরীর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা স্নায়ুগুলিকে প্রভাবিত করে এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। যদি কোনও ব্যক্তি বিদ্যুতের উৎস থেকে নিজেকে আলাদা করতে না পারেন, তাহলে তিনি এতে আটকে যান, যা গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ওয়াশিং মেশিনে জল এবং বিদ্যুতের সংমিশ্রণ এটিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে মেশিনটি সর্বদা কাঠের বা উঁচু স্ট্যান্ডে রাখা উচিত যাতে কারেন্ট জলের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে না পড়ে। এছাড়াও, সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার পরে এবং সম্ভব হলে প্লাগটি সরিয়ে দেওয়ার পরেই মেশিনে হাত দেওয়া উচিত।