জামুইয়ের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের এক ছাত্র পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষায় প্রেমের সংজ্ঞা লিখেছেন। সুন্দর হস্তাক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘জানি সহজে প্রেম হয় না। কিন্তু যখন হয়, তখন খুব গাঢ় হয়’। পাশাপাশি শিক্ষকের কাছে পাস করিয়ে দেওয়ার আবদার করেছেন অনেক ছাত্রছাত্রীই। একজন লিখেছেন, ‘‘মায়ের খুব শরীর খারাপ। টাকার অভাবে ভাল হাসপাতালে ভর্তি করতে পারিনি। দয়া করে আমাকে পাস করিয়ে দিন।’’ আরেক ছাত্রের দাবি, ‘আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমাকে পাশ করিয়ে দিতে হবে।’’ কেউ কেউ সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘‘শরীর খারাপ ছিল বলে পড়াশোনা করতে পারিনি। দয়া করে পাশ করিয়ে দিন।’’
advertisement
আরও পড়ুন– আজ পরিষ্কার আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনা শুধুমাত্র এই জেলায়, রবিবারের পর ফের তাপমাত্রা চড়বে
এমন আবেগঘন বার্তা সহ উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষকের চোখ কপালে। জামুইয়ের এক ছাত্রের পরীক্ষায় পাস করানোর দাবি জানানো উত্তরপত্র ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্য পরীক্ষকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই সব লিখে কোনও লাভ নেই, পড়াশোনা করতে হবে।
টুকলি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে বিহার বোর্ড। ইন্টার পরীক্ষাতেও ব্যাপক কড়াকড়ি হয়। খাতা দেখতে গিয়েই সেটা মালুম হচ্ছে, বলছেন এক পরীক্ষক। এক শিক্ষার্থী পাশ করানোর আর্জি জানিয়ে লিখেছে, ‘‘হ্যালো ম্যাম বা স্যার… আমি জ্যোতি। দয়া করে আমার কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ এটা বলা আমার জন্য খুবই জরুরি। আমি জানি, আমার কথা আপনি বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু ১০ দিন হল আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমি কিছুই পড়াশোনা করতে পারিনি। তার ওপর শরীরও খারাপ ছিল। কিন্তু তার পরেও আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি। দয়া করে আমাকে নম্বর দিন। আমার অবস্থা খুব খারাপ। আশা করি আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।’’
পরীক্ষক কুমারী রঞ্জু বলেন, ‘‘পরীক্ষার খাতায় এসব লেখা উচিত নয়। এতে এক নম্বরও মিলবে না। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর লিখতে হবে ৷’’