এমনকী, ১ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার জন্যও ব্যাঙ্কের কাছে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য প্রদান করতে হয় গ্রাহককে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক গ্রাহকের সম্পর্কে কথা বলব, যিনি ইতিহাসের সবথেকে বড় প্রতারক হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কীভাবে? সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২১ বিলিয়ন টাকা ঋণ নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। আর এই ঋণ নেওয়ার জন্য তিনি ব্যাঙ্কের কাছে যে বিবরণ দিয়েছেন, তা অতীব বিস্ময়কর। আসলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ব্যাঙ্কের কাছে জানিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিমানবন্দর তৈরি করছেন। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও আসলেই এমনটা ঘটেছিল। বিমানবন্দর তৈরি করার নাম করে ব্যাঙ্ক থেকে এত বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন ওই গ্রাহক। আদতে কিন্তু বিমানবন্দর তৈরি করার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না তার। আসলে এটা প্রতারণার একটা পদ্ধতি মাত্র।
advertisement
আরও পড়ুন– সাপ্তাহিক রাশিফল, সেপ্টেম্বর ২০২৩: কুম্ভ রাশির বিনিয়োগে লাভ, মকরে প্রেম; বিশদ জানতে পড়ুন
ইমানুয়েল নবুদ নামের এই গ্রাহক আগে নাইজেরিয়া ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে কাজ করতেন। আর নিজের কাজের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই প্রতারণা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর জন্য ফাঁদ পেতে ব্রাজিলের এক ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নেলসন সাকাগুচিকে ডেকে বিমানবন্দর নির্মাণের নামে ২১ বিলিয়ন টাকা ঋণ নেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ব্রাজিলের ওই ব্যাঙ্ক কোনও রকম কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই মাত্র একটা কলের উপর ভরসা করে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়েছে।
আরও পড়ুন– শুধু ধনী ব্যক্তিদেরই ডেট করেন এই মহিলা, প্রথম ডেটেই দেখতে চান সঙ্গীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট !
এমনকী কোনও ব্যাঙ্ক কর্তা বিমানবন্দর নির্মাণের ওই তথ্য যাচাই পর্যন্ত করেননি। ১৯৯৭ সালে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ইমানুয়েলের ব্যাঙ্কের বই পরীক্ষা করে দেখে, তখন সন্দেহের উদ্রেক হয়। তদন্ত হতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হতবাক হয়ে যায় ব্যাঙ্ক। বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ইমানুয়েলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর পরে শাস্তি হিসেবে ২৫ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হয়। তবে ২০০৬ সাল নাগাদ কারাবাস থেকে মুক্তি পান ইমানুয়েল।