আরও পড়ুনঃ সূর্যের ‘মৃত্যু’তেই শেষ হবে পৃথিবী! আর কতদিন আয়ু সূর্যের? বিজ্ঞানীরাই শিউরে উঠলেন ভয়ে
প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরনের কাছ থেকে আধ্যাত্মিক উপদেশ নেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রীতু। ক্যাপশনে লিখেছেন, “এটা কী আমিই? হ্যাঁ আমি। তবে কিছু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মশলা দরকার হয়। তাঁরা আমার মুখের ছবি জুম করে চিৎকার করে, ওই তো, রীতুরই গলা। আমরা রীতুর সঙ্গে আছি।“পোস্টে গৌরব তানেজাকেও ট্যাগ করেছেন রীতি। লিখেছেন, “এটাই বাস্তব।’’
advertisement
এখানেই থামেননি রীতু। তাঁদের দাম্পত্য নিয়ে কৌতূহলী ভক্ত এবং তথাকথিত শুভান্যুধায়ীদের একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি কি অবলা নারী? না, আমি অবলা নই। আমার বাড়িতে যে মহিলা কাজ করতে আসেন, তিনি অবলা নারী। তিনি বাড়িতে প্রতিদিন অগণিত কষ্টের সম্মুখীন হন। আমি চাই, আপনারা তাঁর বাড়িতে যান। তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। তাঁকে বলুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’’ এরপর কিছুটা থেমে আবেগী গলায় বলেন, “সন্তানদের একা হাতে মানুষ করার ক্ষমতা আমার আছে।’’
এর জন্য গৌরব তানেজাকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন রীতু। তিনি বলেছেন, “আজ আমি যা হতে পেরেছি তার পিছনে গৌরবের অবদান অপরিসীম।… গত আট বছর ধরে গৌরবই আমাকে নিজের পায়ে এমনভাবে দাঁড়াতে শিখিয়েছে যাতে আমি একাই সন্তানদের লালনপালন করতে পারি।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভারতে কতজন পুরুষ স্ত্রীর পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছেন?’’ এরপর রীতু জিজ্ঞেস করেছেন, “ঈশ্বরকে কখনও নিজের ব্যথা, বেদনার কথা বলেছেন? আমি বলি। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়।’’
রীতুর কথায়, “পিতামাতা, বন্ধুবান্ধব হোক কিংবা স্বামী-স্ত্রী, সব সম্পর্কেই ওঠাপড়া থাকে। এটা স্বাভাবিক। যাইহোক, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। যদি এটাকে আমি হাটের মাঝে নিয়ে যেতে চাইতাম, তাহলে ইনস্টাগ্রামে এই নিয়ে আলোচনা করতাম। অনেক বিষয় নিয়েই নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হতে পারে। আমাদের মধ্যেও হয়েছে। আমি ভেবেছি আমি ঠিক। গৌরব ভেবেছে, ও ঠিক। তার মানে এই নয়, আপনারা গৌরবকে অসম্মান করবেন। ওঁর মতো মানুষ খুব কম হয়।’’