মার্কো শিকাগোতে থাকাকালীন অ্যাকসেঞ্চারে কাজ করতেন। আর ফ্রান আর্জেন্তিনায় কাজ করতেন একজন ইন্টার্ন হিসেবে। বরাবরই ভ্রমণপ্রেমী এই দুই যুবক-যুবতীর দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে। এক বছর লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপে ছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের ডেটে যাওয়ার কায়দাটা অন্যদের মতো ছিল না। কাফে কিংবা রেস্তোরাঁয় নয়, তাঁরা দেখা করতেন অন্য দেশে।
আরও পড়ুন– ৩৯ জন স্ত্রী, ৮৯ সন্তান! কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মিজোরামের জিওনা চানা, জেনে নিন সত্য
advertisement
লং ডিসটেন্সে থাকাকালীন মার্কো আর ফ্রান ডেটের জন্য বেছে নিয়েছিলেন ভারত, থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, আর্জেন্তিনার মতো দেশকে। এর পর ধীরে ধীরে ভ্রমণ তাঁদের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন এই জুটি। একসঙ্গে মিলে শুরু করেন লাইফ কোচিংয়ের ব্যবসাও। কিন্তু বারবার হোটেল বদলের ফলে ব্যবসা জমছিল না। এদিকে হোটেল কিংবা বিমান ভাড়াও তো রয়েছে!
এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে মার্কো আর ফ্রান এক দম্পতির খোঁজ পান। যাঁরা অন্যের বাড়িতে থেকে সেই বাড়ি দেখাশোনা করেন। আর এর বিনিময়ে নেন পারিশ্রমিক। এর পরেই বুদ্ধি খেলে যায়। TrustedHousesitters.com-এ নিজেদের প্রোফাইল তৈরি করেন মার্কো-ফ্রান। দিন পনেরোর মধ্যে আলাস্কায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ পান তাঁরা। সেই বাড়িতে পোষা কুকুর আর পাখির যত্ন নিতে হত তাঁদের। আর ঘরের কর্মীরা যাতে আলাস্কার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য বাড়ির মালিকরা একটি গাড়ি, দুটি বাইক ও হাইকিং গিয়ার রেখে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-প্রচুর ময়লা জমেছে? এই কায়দায় পরিষ্কার করলে সিলিং ফ্যান ঘুরবে একেবারে ঝড়ের বেগে!
প্রথম অভিজ্ঞতা ভালই ছিল। ফলে এভাবেই ওয়েবসাইট থেকে আরও কাজ খুঁজতে থাকেন মার্কো-ফ্রান। এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের প্রায় ২৫টি বাড়িতে কাজ করেছেন তাঁরা। ফলে কোথাও তাঁদের বিমান কিংবা হোটেল ভাড়া গুনতে হয়নি। আর দিব্যি ঘুরে বেড়িয়েছেন সেই দেশগুলি।
এখানেই শেষ নয়, ভ্রমণের খরচ কমাতে তাঁরা ইতিমধ্যেই কিনেছেন একটি রিক্রিয়েশনাল ভেহিকেলও। এর মাধ্যমে বেঁচে যায় বিমান ভাড়াটা। এই ভাবে কাজ আর ঘোরার পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েবসাইটও চালান এই জুটি। যার নাম ‘ম্যাপ দ্য আননোন’।