World's Largest Family: ৩৯ জন স্ত্রী, ৮৯ সন্তান! কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মিজোরামের জিওনা চানা, জেনে নিন সত্য
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Ziona Chana-World's Largest Family: তাঁর বৃহৎ পরিবার সারা বিশ্বের কাছে এক আশ্চর্য। ২০২১ সালের ১৩ জুন মারা গিয়েছেন মিজোরামের জিওনা। তবু তাঁর বিরাট পরিবার এখনও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
একান্নবর্তী পরিবার— এই ধারণা ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে। তবু এই দেশে এখনও এমন পরিবার একেবারে অমিল নয়। আর সেইখানেই দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মিজোরামের জিওনা চানা। তাঁর বৃহৎ পরিবার সারা বিশ্বের কাছে এক আশ্চর্য। ২০২১ সালের ১৩ জুন মারা গিয়েছেন জিওনা। তবু তাঁর বিরাট পরিবার এখনও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। Photo: Collected
advertisement
advertisement
advertisement
এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয় খুয়াতুয়াহা নামে এক ব্যক্তিকে। সম্ভবত বিবাহ বহির্ভুত কোনও সম্পর্কের জেরে তাঁকে চার্চ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার পরই নিজের অনুগামীদের নিয়ে রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বাকতাং গ্রামে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। খুয়াতুয়াহার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে অনেকেই তাঁর অনুগমন করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
advertisement
advertisement
এঁরা অন্যদের থেকে একটু দূরত্ব রাখতেই পছন্দ করেন। তবে জীবিকা নির্বাহ করতে গ্রামের বাইরে যেতে হয়। এই পরিবারের সকলেই দক্ষ কারিগর। কাঠের সামগ্রী বা বাসনপত্র তৈরি করে তাঁরা নিয়ে যান নানা জায়গায় বিক্রি করতে। চাষাবাদ তো আছেই। জিওনা চানা নিজেও আজীবন চাষ করেছেন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। Photo: Collected
advertisement
আসলে নিজস্ব সম্প্রদায়ের পরিধি বিস্তৃত করতেই বহু বিবাহের ধারণাটিকে গ্রহণ করেন খুয়াতায়াহা এবং চল্লিয়ান চানা। এটিকে তাঁরা ঈশ্বরের ইচ্ছে বলেই মনে করছেন। জিওনা চানার আমলেই সব থেকে বেশি বেড়েছে এই সম্প্রদায়ের পরিধি। জিওনা যখন মারা যান তখন তাঁর সর্বজ্যেষ্ঠ স্ত্রীয়ের বয়স ৭০-এর উপরে। কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রীর বয়স ছিল ৪০। Photo: Collected
advertisement
এই পরিবারের উপর সাংবাদিকদের নজর সব সময়। ২০১০ সালেই প্রথম এই পরিবারটির কথা জানান এক মিজো সংবাদিক ভ্যানলালরুতা। তারপর থেকে সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যম এসে পৌঁছন এই ছোট্ট মিজো গ্রামে। সকলের সঙ্গেই কথা বলেন এই পরিবারের সদস্যরা। যদিও ভ্যানলালরুতা বলেন, কথা বললেও নিজেদের গোপনীয়তা কখনই ভাঙেন না এই পরিবারের সদস্যরা। Photo: Collected
advertisement
শুধু সাংবাদিকরাই নন। পর্যটকরাও ভিড় জমান এই একান্নবর্তী পরিবারের হাঁড়ির খবর নিতে। চানা পরিবারের বাড়িও দেখার মতো। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ায় ২০১০ সালে তাঁরা নতুন বাড়ি ‘ছুয়ানথার রান’ তৈরি করেন। সেখানে ১০০টি ঘরে পরিবারের সকল সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এই বাড়িকে রাজ্যের সরকারি পর্যটন ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা হয়েছে। Photo: Collected
advertisement