হিন্দু শাস্ত্রে বিয়ের ব্যাপারে অনেক নিয়ম-কানুনের বিধিনিষেধ রয়েছে। এ ছাড়া অনেক ধরনের নিয়মের ভিত্তিতে দু'জন মানুষ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে একই গোত্রে বিবাহ হিন্দু শাস্ত্রে নিষিদ্ধ। অনেক আধুনিকমনস্ক মানুষ এই সব নিয়ে প্রায়শই ঠাট্টা-তামাশা করেন। কিন্তু এই কথা বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত। বিজ্ঞান বলছে, অনেক সময় একই জিনগত স্বামী-স্ত্রী বিয়ে করলে গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানদের এর খেসারত বহন করতে হয়। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের এই ঘটনা আবারও তা প্রমাণ করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ৩০ বছরের পাত্রী সেজে বিয়ে করলেন ৫৪ বছর বয়সী এই মহিলা! লোক ঠকানোর নয়া দস্তুরে তাজ্জব সমাজ
দুস্তলিক অঞ্চল নিবাসী ওই দম্পতির সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। জন্মের পাশাপাশি তার মধ্যে নানা ধরনের শারীরিক ও জেনেটিক ব্যাধি দেখা গিয়েছে। এসব জটিলতার কারণে শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, বাবা-মায়ের কারণেই শিশুটির এমন অবস্থা হয়েছে। সম্পর্কের দিক থেকে ওই শিশুটির বাবা-মা আসলে ভাই-বোন ছিলেন। উজবেকিস্তানের একটি হাসপাতাল থেকে শিশুটির একটি ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে শিশুটিকে নার্সের কোলে দেখা যাচ্ছে। ওই শিশুর অবস্থা দেখলে যে কারও মন কেঁপে উঠবে।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জনানো হয়েছে, গত ৪ জুন শিশুটির জন্ম হয়। সেই সময়েই শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তার সারা গায়ে সাপের মতো চাকা-চাকা দাগ ছিল। এ ছাড়াও শিশুটি আরও অনেক শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মেছিল। চিকিৎসকদের মতে, শিশুটি ইচথায়োসিস কনজেনিটা নামের রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এতে ত্বক লাল, শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে সাপের মতো চাকা-চাকা দাগ বের হতে থাকে।
এই ঘটনা সম্পর্কে উজবেকিস্তান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তার মায়ের জন্ম হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তিনি ৩৫ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভাবস্থায় এই সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪৭ সেন্টিমিটার এবং ওজন খুবই কম ছিল। এর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে থাকাকালীন তিনি যে সন্তানের জন্ম দেন, সে সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেয়। চিকিৎসকরা এই শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। জন্মের দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট পর সে মারা যায়।