জানা গিয়েছে, প্রায় বছর চারেক আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলির ফরিদপুরের ভগবন্তপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় এক যুবতীর। বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতির বিবাহিত জীবন বেশ ভালই চলছিল। এমনকী, ওই দম্পতির মধ্যে সাংসারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে তাঁদের পরিবার সুত্রে। কিন্তু বিবাহের চার বছর পরও নিঃসন্তান ছিলেন ওই দম্পতি। আর তাতেই মনের দিক থেকে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই দম্পতি।
advertisement
আরও পড়ুন-স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যু স্ত্রীর, আশি বছরের দাম্পত্য শেষ হল একই চিতায়!
এরই মধ্যে বাবা হওয়ার প্রবল বাসনায় নিজের স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন স্বামী। জানা গিয়েছে, স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসায় শেষ পর্যন্ত স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেন স্ত্রী। স্ত্রীর সম্মতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করতে উদ্যত হন স্বামী। সেই মতো স্ত্রীর উদ্যোগে নিজের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই উত্তরপ্রদেশেরই পিলভিট এলাকার এক যুবতীকে বিয়ে করেন ওই যুবক।
এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ঘটনা হল। ওই দিন বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মহা ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছিল। ব্যান্ড বাজিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন পর্যন্ত করা হয়েছিল বরপক্ষের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, ওই শোভাযাত্রায় রীতিমতো নেচে- গেয়ে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসেন ওই যুবতী। তবে নিজের স্বামীর সন্তানলাভের প্রবল বাসনায় সম্মতি দিলেও ওই যুবতীর বাপের বাড়ির তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুন-লিঙ্গশৈথিল্যের মুশকিল আসান ভায়াগ্রা! কিন্তু এই ধারণা কি আদৌ ঠিক?
তবে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার কারণ ওই যুবকের স্ত্রী পুলিশ আধিকারিকদের জানান স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে তিনিই সহযোগিতা করেছেন। স্ত্রীর কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনার পর অভিযুক্ত যুবককে ক্লিনচিট দিতে বাধ্য হন পুলিশ আধিকারিকরা। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এই ভালোবাসার নমুনা দেখে ইতিমধ্যেই গুঞ্জনে তোলপাড় গোটা বরেলি এলাকা!
