৫০ বছরের এক মহিলাকে বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গাই ফেলে দেয় বাতিলের দলে। শারীরিক কারণে ৫০ বছরের কোঠায় পা দিয়ে অনেকেরই আর আত্মবিশ্বাস বলে কিছু থাকে না। কিন্তু গ্যাব্রিয়েলের ব্যাপারটা দাঁড়াল ঠিক উল্টো।
আরও পড়ুনঃ দুটি বিয়ে করতেই হবে, নাহলেই পুরুষকে ঢুকতে হবে জেলে! ‘এই’ জায়গার এমনই সরকারি নিয়ম
advertisement
এই জায়গায় এসে একটু গ্যাব্রিয়েলের পরিচয়টাও না দিলেই নয়। কাজ করেন তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েশনের। ৫৪ বছরের গ্যাব্রিয়েলের এক সন্তানও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিটনেস এনথুয়াসিস্ট বলে বেশ দাপুটে পরিচয়ও আছে তাঁর।
থাকলে কী হবে! নিন্দুকদের মুখ তো বিশ্বের সব প্রান্তেই সমান ভাবে খোলা, সেই সঙ্গে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের ঢালাও সুবিধা। ফলে, গ্যাব্রিয়েল যখন ৫০ বছর বয়স থেকে ফের শরীরচর্চার জগতে ফিরলেন, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গের স্রোত বইল, চোরা নয়, প্রকাশ্যেই।
তবে, গ্যাব্রিয়েল থেমে থাকেননি। বরং, তিনি জানিয়েছেন যে চুপ করে থাকলে যে আসল কাজটাই হবে না- তিনি পঞ্চাশোর্ধ্ব সব নারীর যা ইচ্ছা করার, নিজের শর্তে বাঁচার, সাধপূরণের অনুপ্রেরণা হতে চান।
কাজটা কিন্তু সহজ ছিল না। নিজেই জানিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল শুরুটা করেছিলেন সাঁতার দিয়ে। তখনই বুঝেছিলেন শরীর নানা অসুবিধা তৈরি করছে। তবে থেমে থাকেননি, পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিজের ছন্দে।
এখন গ্যাব্রিয়েল এবং তাঁর বডিবিল্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয়। কটাক্ষ এখনও আছে। সে সবের উত্তরে শুধু নিজের মাসল ফুলিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন মহিলা। লিখেছেন, মাসল দেখে অনেকেই তাঁকে নির্ভরযোগ্য পুরুষ ভাবলেও তিনি দরকারে খলনায়কও হয়ে উঠতে পারেন।
স্বাভাবিক, শাসন আর সোহাগ যে একই মুদ্রার দুই দিক, মায়ের চেয়ে ভাল আর কে জানবেন!