সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক ‘সৃষ্টিশীল’ ছাত্রের কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে। অঙ্ক পরীক্ষার খাতায় তাঁর উত্তর দেখে শুধু শিক্ষক নন, নেটিজেনরাও হতভম্ব! কেউ কেউ বলছেন, “একে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হোক। এমন প্রতিভা যেন দেশের বাইরে না যায়।“
আরও পড়ুন– মাসে ২৫ দিন ট্রেনে ভ্রমণ! জিজ্ঞাসাবাদে যুবকের কথায় হেসে ফেলল GRP, তারপর যা হল…
advertisement
ব্যাপারটা কী? অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। ওই ছাত্র খাতার উপরে নিজের নাম, রোল নম্বর, বিষয় সব ঠিকঠাকই লিখেছেন। এমনকী প্রশ্নের নম্বরও উল্লেখ করেছেন। দেখলে মনে হবে, বাহ, এ তো পড়ুয়া ছেলে। কিন্তু উত্তরের জায়গা যা লিখেছেন, তাতে সকলের চক্ষু চড়কগাছ।
অঙ্ক না কষে ওই ছাত্র লিখেছেন, “আমার উত্তর আসে না, আমার নিউমেরিক্যাল আসে না, আমার সলিউশন আসে না। তাহলে কী চাই? ফ্যান্টা ফ্যান্টা, আমার চাই ফ্যান্টা ফ্যান্টা।“ এমন ‘উত্তর’ দেখে শিক্ষকের মাথায় হাত। অঙ্ক পরীক্ষার খাতায় যে কেউ এমন কিছু লিখতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। প্রশ্ন ছিল অঙ্কের, তার উত্তরে একেবারে ঠান্ডা পানীয়র আবদার?
আরও পড়ুন– ডাগআউটের সামনে ঋষভকে জেরা দলের মালিকের! গত বছরের ছবি ফের ভেসে উঠল চলতি মরশুমের IPL-এ
ইনস্টাগ্রামে rvcjinsta নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তরপত্রের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল। ৪ লাখের বেশি ভিউ। লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের বন্যা। এক ইউজার মজা করে লিখেছেন, “ওম আর স্বস্তিক চিহ্ন না দিলে উত্তরপত্র অসম্পূর্ণ থেকে যায়।“ আরেকজনের রসিকতা, “এই ছাত্র সত্যিই প্রতিভাবান। একে অন্তত একটা ফ্যান্টা স্পনসর করা হোক।“
শিক্ষকও কম যান না। পরীক্ষার খাতায় শিক্ষকরা সাধারণত লাল কালি দিয়ে ভুল শুধরে দেন, নম্বর কাটেন। এই খাতায় ‘ফ্যান্টা ফ্যান্টা, আমার চাই ফ্যান্টা ফ্যান্টা’ লেখার উপর গোল্লা পাকিয়ে এক লাইন লিখে দিয়েছেন তিনি, “অফিসে দেখা করো”। অফিসে তিনি ওই ছাত্রকে ফ্যান্টা দেবেন, না কি ধমক, তা শুধু তিনিই জানেন।
কেউ কেউ তাঁকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলেছেন, “পরীক্ষার খাতায় বিনোদন দেওয়ার জন্য জাতীয় পুরস্কার”। অনেকে লিখেছেন, “এমন প্রতিভা যেন দেশের বাইরে না যায়।“ আবার কেউ কেউ বলছেন, এটাই নাকি আসল “আউট অফ দ্য বক্স” চিন্তাভাবনা! ওই ছাত্র অঙ্কের উত্তর জানতেন না, কিন্তু ঠিকই জানতেন কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে হয়!