স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় মা বিড়াল। মারা যাওয়ার সময় তার একটি সদ্যোজাত সন্তানকে রেখে যায় সে। মা বিড়ালের মৃত্যুর সেই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ভাতারের বেশ কয়েক জন। সেই সঙ্গে সাক্ষী হয়েছিল ওই বাজার অঞ্চলে থাকা একটি মা কুকুর। বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিড়াল বাচ্চাটিকে তুলে নিয়ে এসে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মাতৃহারা ছানাটি কিছুই মুখে তুলতে চায়নি। এত অচেনা অজানা পরিস্থিতিতে ভয়ে কুঁকড়ে ছিল বাচ্চাটি। এরপরই অবাক করে ওই মা কুকুর।
advertisement
আরও পড়ুন- "যারা ডিপি বদলাতে বলছে তাদেরই সংগঠন RSS কেন জাতীয় পতাকা তোলেনা," প্রশ্ন রাহুলের
নিয়ম করে ওই মা কুকুর তার দুধ খাওয়াতে শুরু করে অনাথ বিড়াল শিশুটিকে। এই দৃশ্য দেখে ভাতারের মানুষজন আশ্চর্য হয়ে যান। ভাতারের পশুপ্রেমী ধীমান ভট্টাচার্য জানান, কুকুরের মধ্যে স্নেহ ভক্তি ভালবাসা দীর্ঘদিনের। এর কারণ লুকিয়ে আছে সভ্যতার আদিতে। মানুষের প্রথম কাছে পোষ মেনেছিল কুকুরই। তাই কুকুরের স্নেহ মমতার অভ্যাস দীর্ঘদিনের। কিন্তু কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে দ্বন্দ্বও দীর্ঘদিনের।
তবে ভাতারের যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা মানব সমাজকেই অন্য শিক্ষা দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মাতৃত্বের এক অনন্য ছবি তুলে ধরছে দুই পশু। ভাতারের অলি গলি ঠেক সবেতেই এখন জোর চর্চা চলছে এই বিড়াল ছানা ও মা কুকুরের অপত্য স্নেহ নিয়ে।
আরও পড়ুন- "নরেন্দ্র মোদিকে ডরাই না," চাপের মুখেও নতি স্বীকার নয়, দৃঢ় ঘোষণা রাহুল গান্ধির
স্থানীয়দের মতে, মা তো মা’ই হয়। বিড়াল ছানা ও কুকুর মায়ের এই ভালোবাসা ও ভরসা দেখে তাই স্থানীয়দের মনে হয়েছে, মানুষের সমাজে অনেক মায়ের শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। পশুরা বরং মানবিক বেশি।