নথিপত্র থেকে জানা যাচ্ছে ১২৫ বছর আগে এক মত্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসারের কীর্তি এটা। পেশওয়ার শহরের ক্যান্টনমেন্টে এই আজব গ্রেফতার করেছিলেন ব্রিটিশ সেনা অফিসার জেমস স্কুইড। রাতের অন্ধকারে মদ্যপ অবস্থায় তাঁর মনে হয়েছিল বটগাছটা যেন তাঁর পিছনে গড়াতে গড়াতে আসছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় তিনি গ্রেফতার করান ‘অভিযুক্ত বটগাছ’-কে! এর পর থেকে চেনবন্দি অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে আছে সেই বটবৃক্ষ।
advertisement
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে ‘‘১৮৯৮ সালে এক মত্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসার বটগাছটিকে গ্রেফতার করার জন্য মেস সার্জেন্টকে নির্দেশ দেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল গাছটি তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। তার পর থেকেই গাছটি শিকলবন্দি।’’ বিতর্কিত গাছটি এখন আকর্ষণ ও পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। বন্দি বৃক্ষের জন্যই ওই অঞ্চলের পর্যটনের মাত্রা তুঙ্গে। তবে ব্রিটিশ সেনা আধিকারিকের এই কাজকে নিছক মত্ততার নজির হিসেবে দেখতে নারাজ অনেকেই।
আরও পড়ুন : কুলের এত ওষধি গুণ সত্ত্বেও সরস্বতীপুজোর আগে এই ফল খেতে কেন নিষেধ করা হয়? জানুন
ওই ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা আমরান শিনওয়ারের কথায়, ‘‘এই আচরণের মাধ্যমে উপজাতিদের ভয় দেখাতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা। বোঝাতে চেয়েছিল তাঁরা যদি এরকম কিছু করে, তাহলে তাঁদেরও এই হাল হবে।’’ প্রসঙ্গত ফ্রন্টিয়ার ক্রাইমস রেগুলেশনস-এর প্রতীক এই বন্দি বটগাছ। ১৯০১ সালে এই কালা আইন বানিয়েছিল ব্রিটিশরা। এই আইন মোতাবেক যে কোনও ঔপনেবেশিক নিয়ম ভাঙলেই স্থানীয়দের শাস্তিদানের ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ শাসকদের। বর্তমানে পর্যটকদের দ্রষ্টব্য এই বন্দি বটগাছ।