একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সালফোর্ড শেরিফ ইংল্যান্ডে অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি যাযাবরের মতো জীবনযাপন করতেন। একটা সময় ছিল যখন তিনি কাক একদম পছন্দ করতেন না। শেরিফ সব সময় কাক থেকে দূরে থাকতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি একটি কাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন।
advertisement
তিনি কাকের নাম দিয়েছেন রাসেল। একদিন রাস্তার মাঝখানে আহত অবস্থায় পেয়েছিলেন কাকটিকে। সে পড়ে ছিল রাস্তায়। তাকে তখন রাস্তা থেকে তুলে আনেন শেরিফ। তাকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলেন। তারপর মায়া পরে যায় ওই কাকটির ওপর। ভালবেসে ফেলেন কাকটিকে।
আরও পড়ুন: বাজারে গিয়ে আর ঠকতে হবে না, দেখে নিন পদ্মার ইলিশ ও গঙ্গার ইলিশ চেনার উপায়
সেই থেকে শেরিফ তাকে নিজের কাছে রেখে দেন। রোজ নিজেই তার যত্ন নিতেন। শেরিফ অসামাজিক কাজ করতেন। কিন্তু কাকটিকে পেয়ে, তার যত্ন নেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে তার ভেতরেও একটি ইতিবাচক মানুষ লুকিয়ে আছে।
শেরিফ একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। সেই মানুষটি তার প্রাণের প্রিয় বন্ধু কাকটিকে পেয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন। আর এই পরিবর্তন তার ভিতর থেকেওই আসে স্বাভাবিক ভাবে। তিনি জানিয়েছেন যে এখন তিনি প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০০০ টাকার খাবার খাওয়ান কাকদের। খাবারের মধ্যে থাকে স্টেক, মাছ, বাদাম ইত্যাদি।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক-এ এমন অনেক ভিডিও পোস্ট করেছেন যাতে তাকে কাকের সেবা করতে দেখা যায়। শেরিফ জানান রাসেল তার সব সময়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। সব জায়গায় রাসেল যেত তাঁর সঙ্গে। শেরিফ তাকে বোতল থেকে কীভাবে জল খেতে হয় তাও শিখিয়েছিলেন। যখনই সে কাজে যেত, কাকটিও সেখানে যেত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর জন্য অপেক্ষা করত। শেরিফকে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর তাকে খাবার খাওয়াত। ভোর ৫টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সে দুঘণ্টা ছাড়া খাবার দিত। তবে বর্তমানে কাক উড়ে গিয়েছে। তাই শেরিফ তাঁর আদরের রাসেলকে খুব মিস করেন।