আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে খারাপ এবং ভাল সময়ের পরিমাপ সাধারণ ভাবে বোঝা যায় না। কেউ কেউ সারাজীবন ধরেই অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করে যান, আবার কেউ কেউ সুখেই সারাজীবন কাটিয়ে দেন। বাস্তুশাস্ত্রের দিক থেকে সম্পূর্ণ না হলেও কিছুটা দুর্ভাগ্য কাটানো যায়।
আরও পড়ুন-পরকীয়া ঢাকতে দেওরের সঙ্গে ছোট বোনের বিয়ে দিলেন দিদি! তার পর?
advertisement
ইনদওরের জ্যোতিষী এবং বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ পন্ডিত কৃষ্ণকান্ত শর্মা এ ব্যাপারে আমাদের বেশ কিছু নিদান দিয়েছেন। জানিয়েছেন যে জবা ফুলের বাস্তুগুণ দিয়ে দুর্ভাগ্যের প্রতিকার করা সম্ভব।
শক্তি বৃদ্ধি
জবা ফুল ছাড়া সূর্য বা নারায়ণের পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। সূর্যদেবের মতো তেজ পেতে নিয়মিত জবা ফুলে তাঁর পুজো করা উচিত। সূর্যবন্দনার সময় তাঁকে যে জল নিবেদন করা হয় সে সময়ে অবশ্যই লাল জবা ফুল প্রদান করতে হবে। এতে শুভ ফল মিলবে।
ইতিবাচক শক্তি প্রদান
লাল রঙ ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। বাড়ির পূর্ব দিকে লাল জবা ফুলের গাছ লাগানো খুব ফলদায়ক। এটি ঘর থেকে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করে আমাদের গৃহস্থালীকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে তোলে। যাঁদের রাশিতে সূর্য দুর্বল স্থানে রয়েছে তাঁরা গ্রহের দোষ দূর করতে এই পথ অবলম্বন করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময়ে নিয়মিত একটি লাল রঙের জবা ফুল সঙ্গে রাখলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে ও সুফল মিলবে।
মঙ্গল দোষের প্রতিকার
মঙ্গল গ্রহের রঙ লাল, যাঁদের রাশিতে মঙ্গল দোষ রয়েছে তাঁদের দেরিতে বিয়ে হয়। এ ছাড়া মঙ্গল দোষের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে কলহও দেখা দেয়। মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে একটি লাল জবা ফুলের গাছ লাগাতে হবে।
শত্রুতা কমাতে
জীবনে ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রভাব কমাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লাল জবা ফুল উপহার দেওয়া যেতে পারে। কিছু দিন এই নিদান মেনে চললে অচিরেই শুভ ফল মিলবে।