বারাণসী: জাল নোট পাচারের অভিযোগে সারনাথ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ এটিএস। ধৃতরা হল বিহারের বৈশালীর সোলেমন আনসারি এবং ফতেহবাদের ইদ্রিশ। দু’জনের কাছ থেকে ১.৯৭ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।
সোলেমন এবং ইদ্রিশ পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, অল্প সময়ে বেশি টাকা রোজগারের লোভেই তারা জাল নোট পাচারের কাজ শুরু করেছিল। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর প্রদেশ যায় তারা। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ ৷
advertisement
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত জাল নোটই ৫০০ টাকার। পুলিশের খবর অনুযায়ী, কলকাতা থেকে তারা প্রথমে পিডিডিইউ নগর জংশনে যায়। তারপর দু’জনে বেনারস ঘুরে দেখে। এখান থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ইউপি-এটিএস খবর আসে, পশ্চিমবঙ্গের জাল নোট পাচার চক্রের সঙ্গে একটি গ্যাং হাত মিলিয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে জাল নোট নিয়ে এসে উত্তর প্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তদন্তে জানা যায়, মহম্মদ সোলেমন আনসারিই ওই গ্যাংয়ের মাথা।
সোলেমনের গ্যাং ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহ থেকে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় বিপুল পরিমাণে জাল নোট পাচার করেছে। এই খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই ফাঁদ পাতে উত্তর প্রদেশ-এটিএস। শেষে সারনাথ থেকে ১.৯৭ লাখ টাকার জাল নোট সহ সোলেমন এবং তাঁর সহযোগী ইদ্রিশকে গ্রেফতার করে এটিএসের বারাণসী ইউনিট।
জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে ২ লাখ টাকার জাল নোট পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল দু’জনের। তার আগে বেনারাস বাজারে ট্রায়াল দেয়। আমিরি চালে জলের মতো জাল নোট খরচ করে। সব ঠিকঠাক আছে দেখে তারা প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় সারনাথের রিং রোডের কাছে তাদের ঘিরে ফেলে এটিএস।
জিজ্ঞাসাবাদে মহম্মদ সোলেমন আনসারি জানান, বাজারে ১ লাখ টাকার জাল নোট পাচার করে ২৫ হাজার টাকা কমিশন মেলে। জানা গিয়েছে, গত বছর বিহার পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছিলেন তিনি। ৬ মাস হাজিপুরের জেলেও ছিলেন। সোলেমন ও ইদ্রিশ জানিয়েছেন, মেলা ও বাজারে তারা দেদার জাল নোট খরচ করতেন। বিশেষ করে বারাণসী, গাজিপুর, সোনভদ্র, বালিয়া, মৌ এবং আজমগড়ে। এই সব এলাকায় জাল নোট খরচ করা সহজ।
ধৃত দু’জনই জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, প্রায় ৮ বছর ধরে তারা জাল নোটের কারবার চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে ১০ কোটি টাকার জাল নোট পাচার করেছে তারা। ঘটনা প্রসঙ্গে এডিসিপি সারভানান টি বলেছেন, জাল নোট পাচার চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।