এছাড়াও, আপনি নিশ্চয়ই বাংলার ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর সম্পর্কেও শুনেছেন। একইভাবে ভারতে একটি হ্রদও রয়েছে, যা দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু আপনি যখন এই হ্রদের সম্পর্কে জানবেন, তখন আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এই হ্রদের নাম রূপকুণ্ড। এটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত।
হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে অনেকেই উত্তরাখণ্ডে যান। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ হিমালয়ের যান। কিন্তু সেখানে এমন একটি লেকও আছে যেখানে মানুষ যায়, কিন্তু তার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর তাঁরা ভয় পান। এই হ্রদকে বলা হয় ‘কঙ্কালের হ্রদ’।
advertisement
আরও পড়ুন- দুর্ধর্ষ এই অপটিক্যাল ইলিউশনে লুকিয়ে একটা নম্বর, আপনার চোখে কী পড়ছে ?
রূপকুন্ড হ্রদ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি উত্তরাখণ্ডে ত্রিশূল পর্বতের গোড়ায় অবস্থিত। হ্রদটি দূর থেকে দেখতে ভাল লাগতে পারে। কিন্তু এই হ্রদের জলে উঁকি দিলে ভিতরে শত শত কঙ্কাল দেখা যায়।
এই হ্রদ সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে।গ্রীষ্মকালে যখন তুষার গলে যায়, তখন ভিতরের কঙ্কালগুলি দেখা যায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেখানে ৬০০-৮০০ জনের কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
তুষারে চাপা থাকার কারণে সেই কঙ্কালগুলোর মধ্যে কিছু মাংসও রয়ে গিয়েছে। সরকার এই হ্রদটিকে রহস্যময় বলে জানিয়েছে। কারণ মানুষ এখনও এটি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটিশ রেঞ্জাররা ১৯৪২ সালে এখানে প্রথম কঙ্কাল দেখেছিলেন।
এই হাড় ও কঙ্কাল নিয়ে অনেক ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। কোনটা কতটা সত্যি এবং কোনটা গুজব তাও জানা যায়নি। অনেকে বলেন, ২০০৪ সালে বিজ্ঞানীরা কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে আবিষ্কার করেছিলেন এই হাড়গুলি। সেগুলি ১০০০ বছরেরও বেশি পুরনো মানুষের। কিছু হাড়ের বয়স প্রায় ১০০ বছর।
আরও পড়ুন- স্কুটি দিয়ে গম পেষার এক নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন এই মহিলা; দেখুন ভিডিও
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই সমস্ত হাড় এবং কঙ্কাল যাদের তাঁরা একই সময়ে মারা যাননি, বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। Eadaoin Harney নামের বিজ্ঞানী এই হ্রদ সম্পর্কে বলেছেন, কোনো দুর্ঘটনায় নয়, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। অনেকে আবার ভারত-চীন যুদ্ধে নিহত চীনা সৈন্যদের কঙ্কাল বলেও দাবি করেন।