চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ইনস্টাগ্রামে একটি ক্লিপ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ইউরিন আই ওয়াশ — প্রকৃতির নিজস্ব ঔষধ। ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নূপুর পিট্টি ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি নিজের একেবারে সকালের টাটকা প্রস্রাব দিয়েই চোখ ধুয়ে পরিষ্কার করেন। তাঁর দাবি, এই টোটকা অবলম্বন করে চোখের শুষ্কতা বা আই ড্রাইনেস, চোখের চুলকানি এবং লালচে ভাব দূর হয়ে গিয়েছে। নূপুর জানান যে, প্রাকৃতিক এবং বিকল্প নিরাময়ের প্রতি তাঁর বৃহত্তর বিশ্বাসের অংশ হিসেবে এই অনুশীলনটি করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধনসম্পত্তির নিরিখে আমির -রণবীরকে টেক্কা দিয়েও বলিউডকে বিদায়! বাবা-কাকার কম্পানিতে চাকরিই ভরসা
মঙ্গলবার আপলোড করা এই পোস্টের ভিউ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার জেরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। কমেন্ট বাক্সে উপচে পড়ছে ভিউয়ারদের কমেন্ট। আর সেই মন্তব্যে প্রতিফলিত হচ্ছে তীব্র অবিশ্বাস এবং ঘৃণা। এমনকী কেউ কেউ আবার উদ্বিগ্ন হয়ে মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
যদিও নেটিজেনদের মন্তব্যে অবশ্য কর্ণপাত করতে নারাজ নূপুর পিট্টি। নিজের পদ্ধতিতে তিনি অবশ্য অটল। তবে এই ধরনের অনুশীলনের বিরুদ্ধে নূপুরকে সাবধান করেছেন মেডিকেল প্রফেশনাল এবং অনলাইন ব্যবহারকারীরা। তাঁদের দাবি, এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে এবং ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।
অ্যাওয়ার্ড-বিজয়ী খ্যাতনামা হেপাটোলজিস্ট ডা. সিরিয়্যাক অ্যাবি ফিলিপস আবার ইন্টারনেটে TheLiverDoc নামেই প্রসিদ্ধ। এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন যে, “দয়া করে নিজের প্রস্রাব চোখের ভিতরে দেবেন না। কারণ প্রস্রাব কিন্তু জীবাণুমুক্ত নয়।” এখানেই শেষ নয়, এই ট্রেন্ডের তীব্র নিন্দা করে তিনি আরও বলেন যে, “এটা ভীষণ হতাশাজনক এবং ভয়ঙ্কর।”
এক্স প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা অবশ্য TheLiverDoc-কেই সমর্থন করেছেন। ফিলিপস সরাসরি নূপুরের ইনস্টাগ্রামে গিয়ে পরামর্শ দেন যে, “আপনার সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এটা স্বাভাবিক নয়। যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়িং এবং লাইক ওয়েভে ভেসে থাকতে চান, এটা তার পন্থা নয়।”
প্রসঙ্গত, মানুষের প্রস্রাব আদতে বর্জ্য পদার্থ। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ জল থাকে। আর বাকি এর মধ্যে থাকে কম্পোজড ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, অ্যামোনিয়া, লবণ এবং একাধিক মেটাবলিক বাইপ্রোডাক্টের মতো দেহের বর্জ্য। এর মধ্যে রক্তপ্রবাহ থেকে পরিশ্রুত মেডিকেশন, হরমোন এবং পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থও থাকতে পারে। এদিকে চোখের মিউকাস মেমব্রেন ভীষণই সংবেদনশীল। তাই প্রস্রাবের মতো উপাদান এর জন্য বিপজ্জনক।