এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল, কিন্তু এরপরই ঘটল ভয়ংকর ঘটনা। মেয়ের পরিবারের রোষ এবং হত্যার হুমকিতে নাজেহাল হয় দম্পতি! বর্তমানে এই ঘটনা পুলিশের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, প্রেমিক-প্রেমিকা পুলিশের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার আগেই দ্বিতীয় বিয়ে! স্বামীর কাণ্ডে অবাক বউ, তারপর যা হল…
২০ বছর বয়সী মোনিকা ঢাকা জানায়, দুই বছর আগে বিকানের জেলার সোনিয়াসর গ্রামের চেতনরাম গোদারা তার বাড়িতে ট্রাক্টরে করে গম ভাঙার যন্ত্র (থ্রেসার মেশিন) নিয়ে এসেছিল। তখনই মোনিকার মনে ভালোবাসার অনুভূতি জেগে ওঠে। সে কিছু বলতে পারেনি, কিন্তু নিজের ফোন নম্বর চেতনরামের ট্রাক্টরে লিখে দিয়ে ইঙ্গিত দেয় যোগাযোগের জন্য। এরপর শুরু হয় মোবাইল কথোপকথন, আর ধীরে ধীরে প্রেম গভীর হতে থাকে।
advertisement
সান্ডওয়া এলাকার সাড্ডু ছোটি গ্রামের মোনিকা মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও প্রেমের পাঠ সে ভালোই শিখেছে! সে বাড়িতে থেকেই চাষাবাদের কাজে বাবাকে সাহায্য করত। প্রায় ছয় মাস আগে মোনিকা তার পরিবারকে চেতনরামের ব্যাপারে জানায়, কিন্তু পরিবার থেকে এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করা হয়। তারা জানান, পরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী বিয়ের পরিবর্তে তারা অন্য কারও সঙ্গে “আটা-সাটা” প্রথায় (এক রকম বিনিময় ভিত্তিক বিবাহপ্রথা) মোনিকার বিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে বন্ধ হবে পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি! দূষণ রুখতে নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের, জানুন পুরোটা..
পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে ২৭ মার্চ মোনিকা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং তার প্রেমিক চেতনরামকেও ডেকে নেয়। তারা জোধপুরে গিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করে। চেতনরাম দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে, অর্থাৎ সে মোনিকার চেয়ে বেশি শিক্ষিত। বিয়ের পর তারা সালাসর, সরদারশহর ও নাগোরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
এই সময়ের মধ্যে মোনিকার পরিবার সান্ডওয়া থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট জমা দেয়। মোনিকা জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার ও চেতনরামের বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই কারণে তারা পুলিশের কাছে গিয়ে নিরাপত্তার আবেদন করেছে।