গপ্পোটা হলো, আগামীকাল শুক্রবার ৷ আর তারিখটা হলো ১৩ ৷ মানে সেই ভয়ানক ফ্রাইডে দ্য থার্টিন ৷ হলিউডি ছবিতে, বিদেশি লেখাতে যে ১৩ তারিখের শুক্রবার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, সেটিই আসতে চলেছে কালকে ৷ আর সেই দিনকে ডবল ভয়ঙ্কর বানানোর জন্য ভূতচতুর্দশী একসঙ্গে জুড়েছে ৷ ভাবতে পারছেন কী সাংঘাতিক, ভয়ঙ্কর হতে পারে কালকে ভূতেদের দাপট ! একে তো করোনা, তার ওপর এবার যদি দেশি ও বিদেশি ভূত একসঙ্গে লাফালাফি শুরু করে , তাহলে বেঁচে থাকা মানুষদের প্রাণ তো ওষ্ঠাগত ৷
advertisement
রসিকতা করে বলতেই পারেন, করোনাকালে ভূতও আসবে না সামনে ! আচ্ছা মশাই ভেবে দেখুন, ভূতেরা কেন ভয় পাবে করোনাকে? তেঁনারা তো এমনিতেই মরে ভূত ! আর কাছে আসতে হবে না, সামনে এসে ঝলক দেখালেই তো অক্কা !
তা কী এই ভূতচতুর্দশী ও ফ্রাইডে দ্য থার্টিন? আসুন বিশদে বলি ৷ এর পিছনে গল্প আছে...
শাস্ত্রমতে, নরকাসুররূপী বলি রাজা কালীপুজোর আগের দিন মানে ভূতচতুর্দশী তিথিতে পরলোক থেকে মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে আসেন রাজার অসংখ্য সহযাত্রী ৷ আর জানেন, এই সহযাত্রী কারা? এক ঝাঁক ভূত প্রেতরা। যেহেতু ভূতেরা অন্ধকার ভালবাসে, আলোতে তাঁদের অ্যালার্জি, সেহেতু এসব ব্যাটাদের দূরে রাখতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। তিথিটা থাকে চতুর্দশী তাই জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। প্রদীপগুলি আসলে জ্বালানো হয় পিতৃপুরুষ, প্রেতাত্মা, ধর্ম, রুদ্র, বিষ্ণু, অরণ্যের দেবতাদের জন্যই।
ফ্রাইডে দ্য থার্টিনের পিছনেও রয়েছে গল্প...
আসলে, বিলেতে ফ্রাইডে থার্টিন আসলে অপয়া একটা দিন ৷ সব খারাপ যেন এই দিনটার গায়ে লেবেলের মতো ঠাঁসা রয়েছে ৷ গল্পকথায় রয়েছে,
শুক্রবার যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, অ্যাডম ও ইভ এই শুক্রবারেই খেয়েছিলেন নিষিদ্ধ ফল৷ আর ১৩ হচ্ছে শয়তানের সবচেয়ে প্রিয় নম্বর৷ জুডাসেরও প্রিয় নম্বর ছিল ১৩৷ এছাড়া ১৯২৭ সালে অ্যামেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জে যেদিন ধ্বস নেমেছিল সেদিনটিও ছিল শুক্রবার৷ এই সব পর ১৩ সম্পর্কীত কীর্তিই এই দিনটাকে গোটা দুনিয়ায় কু-খ্যাত করেছে ৷
তবে শেষমেশ, সেই পুরনো প্রবাদ ৷ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর....কিন্তু যাই করুন দীপাবলির উৎসবে আলোর সাজেই তুলুন আপনার বাড়ি ঘর৷ আপনার অন্দরমহল আর অন্তর মহল আলোকিত থাকলেও সুখ ও সুস্থতা বাসা বাঁধবে আপনার জীবনে ৷ কারণ, কোনও অন্ধকারই সুস্থ ও স্বাভাবিক নয়৷