TRENDING:

শিস দিয়ে কথা বলে গ্রামবাসীরা! ভারতেই আছে এমন আশ্চর্য গ্রাম, বলতে পারেন কোথায়?

Last Updated:

Whistling village Of Meghalaya Kongthong: গ্রামবাসীরা এই সুরটিকে জিঙ্গারওয়াই লাভবি বলে, যার অর্থ 'মায়ের গান'। এখানে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের দুটি নাম রয়েছে, একটি সাধারণ নাম এবং অন্যটি গানের নাম। এ ছাড়া গানের নামের দুটি সংস্করণ রয়েছে, একটি দীর্ঘ গান এবং অন্যটি ছোট গান। ছোট গান সাধারণত বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলং: ভারতের এই গ্রামকে বিদেশিরা বলে, ‘হুইসলিং ভিলেজ’। মেঘালয়ের কংথং গ্রাম। এখানে মানুষ একে অপরকে তাদের নামে ডাকে না, বিশেষ সুরে ডাকে। সেই জন্য এই গ্রাম ‘হুইসলিং ভিলেজ’ নামে পরিচিত।
advertisement

কংথং মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব খাসি পাহাড় জেলায় অবস্থিত। কংথং গ্রামের লোকজন শিসের মাধ্যমে সারাদিন পরস্পরের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়।

আরও পড়ুন- বিশ্বের একমাত্র সিনেমা,যার জন্য মারা যান ৭০ জনের বেশি!কোন সিনেমা জানেন?কী ঘটেছিল

কংথং-এর গ্রামবাসীরা এই সুরটিকে জিঙ্গারওয়াই লাভবি বলে, যার অর্থ ‘মায়ের গান’। এখানে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের দুটি নাম রয়েছে, একটি সাধারণ নাম এবং অন্যটি গানের নাম। এ ছাড়া গানের নামের দুটি সংস্করণ রয়েছে, একটি দীর্ঘ গান এবং অন্যটি ছোট গান। ছোট গান সাধারণত বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।

advertisement

এই গ্রামে প্রায় ৭০০ জন গ্রামবাসী থাকে। অর্থাৎ ৭০০টি ভিন্ন সুর শোনা যায় সেখানে। কংথং গ্রামের বাসিন্দা ফাইভস্টার খংসিট বলেন, একজন ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য যে ‘সুর’ ব্যবহার করা হয় তা সন্তানের জন্মের পরে মায়েরা তৈরি করে। ফলে একজন গ্রামবাসী মারা গেলে তাঁর সাথে সেই ব্যক্তির আবেগও মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব সুর আছে। মায়েরা এই সুরগুলো তৈরি করেছেন। আমরা দুটি উপায়ে সুর ব্যবহার করি, দীর্ঘ সুর এবং ছোট সুর। আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছোট ছোট সুর ব্যবহার করা হয়।

advertisement

খংসিৎ বলেন, আমাদের গ্রামে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এইভাবে পরস্পরকে ডেকে চলেছে। আমরা জানি না কবে থেকে এমন রীতি শুরু হয়েছিল! তবে সমস্ত গ্রামবাসী এতে খুব খুশি।

আরও পড়ুন- এপ্রিল মাসে ‘এই’ দিনগুলি বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ..! দেখুন তারিখ-সহ সম্পূর্ণ তালিকা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

গ্রামের আরেক গ্রামবাসী জিপসন সোখলেট বলেছেন, এই সুর যেহেতু মায়ের তৈরি করা, তাই এতে আবেগ মিশে রয়েছে। আমরা এভাবেই পরস্পরকে ডেকে খুশি। এখন আবার মেঘালয়ের আরও কয়েকটি গ্রামের লোকেরাও এই প্রথাটি গ্রহণ করছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
শিস দিয়ে কথা বলে গ্রামবাসীরা! ভারতেই আছে এমন আশ্চর্য গ্রাম, বলতে পারেন কোথায়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল