১৭ জুন এই দম্পতি চেন্নাইতে তাঁদের ছেলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। তাঁরা নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করার জন্য একজন গৃহকর্মী নিয়োগ করেছিল। ২৬শে জুন সন্ধেতে তিনি যখন আসেন, দরজা খোলা দেখে খানিক হকচকিয়ে যায়৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: কেকেআরের মিটিংয়ে আসা বন্ধ করলেন জুহি চাওলা, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
advertisement
তদন্তের পরে, জানা যায়, নগদ প্রায় ৬০,০০০ টাকা, দু’জোড়া সোনার কানের দুল এবং রুপোর নুপুর চুরি গিয়েছে। আর পাওয়া গিয়েছে ক্ষমা চাওয়ার নোটটি। যেখানে চুরি করার জন্য চোর ক্ষমা পার্থনা করা হয়েছে৷ নোট থেকে জানা যায় নিকট আত্মীয়ের চিকিত্সার জন্যই এই চৌর্য বৃত্তি৷ শুধু এখানেই শেষ নয়৷ এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন চোরবাবাজি। একটি খামের উপর সবুজ কালি দিয়ে তামিল ভাষায় নোটটিতে লেখা ছিল: “আমাকে ক্ষমা করুন। আমি এক মাসের মধ্যে সব ফেরত দেব। আমার বাড়িতে কেউ অসুস্থ।” মেগনানাপুরম পুলিশথানা ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করার পর তদন্ত শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে চিনের সাংহাইতেও একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়? সেখানেও একই রকম একটা একটা ঘটনা ঘটেছিল৷ সেখানেও চোর অফিসে ঢুকে একটা ঘড়ি এবং ল্যাপটপ চুরি করে৷ তারপর এক মজার নোট লিখে রেখে যায়, যেখানে অফিসে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে এবং নিরাপত্তাকে আপগ্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
নোটে আরও জানা যায়, চোর মশাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপগুলি প্রভৃতি ডিজিটাল ডিভাইসগুলির নিয়ে যায়নি৷ তার কারণও ব্যাখ্যা করেছে চোরটি৷ এগুলোর প্রকৃত মালিক যিনি তাঁর ব্যবসার ক্ষতি এড়াতেই শেষ অবধি কোনও ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস চুরি থেকে বিরত ছিল চোরটি৷ যদিও পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সেই চোরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছিল৷