সূর্য সেই নক্ষত্র যার চারপাশে পাক খাচ্ছে পৃথিবী। অন্যদিকে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ। তাই চাঁদের চেয়ে প্রায় ৪০০ গুণ বড় সূর্য। কিন্তু পৃথিবীর মাটি থেকে এই দু’টিকেই সমান দেখায়। খালি চোখে কাউকেই ছোট বা বড় বলে মনে হয় না। কী করে এমনটা হয়?
আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন শ্রুতি? রাঙা বউয়ের কোলে আলো করে সন্তান আসবে কবে? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ!
advertisement
আসলে এর পিছনে রয়েছে খুব মজার বিজ্ঞান। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এর চমৎকার জবাব দিয়েছে।
পৃথিবীর মানুষ সকালে যখন লাল নতুন সূর্যের দিকে তাকায় তখন যেমন দেখে, প্রায় একই আকারের চাঁদ দেখা যায় পূর্ণিমার সন্ধ্যায়। দেখে মনে হয় উভয়ের ব্যাস সমান।
কিন্তু কেন্দ্রীয় নক্ষত্র সূর্যের ব্যাস আসলে ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার। সেখানে চাঁদের ব্যাস মাত্র ৩,৪৭৪ কিলোমিটার। পৃথিবীর ব্যাস ১৩,৭৪২ কিলোমিটার। অর্থাৎ, সূর্য পৃথিবীর থেকেই প্রায় ১০৯ গুণ বড়। তাহলে চাঁদকে সূর্যের সমান দেখায় কেন?
জ্যোতির্বিজ্ঞানের রিপোর্ট অনুসারে, সূর্য চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড়। কিন্তু পৃথিবী থেকে এই দুই মহাজাগতিক বস্তুকে সমান দেখায়। কারণ পৃথিবী থেকে চাঁদের যা দূরত্ব, সূর্যের থেকে দূরত্ব তার প্রায় ৪০০ গুণ বেশি।
এই কারণেই আকাশে চাঁদ এবং সূর্যকে একই আকারের বলে মনে হয়। আসলে এটা দেখার উপর নির্ভর করছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যদি ঠিক এই পরিমাণ না হত, সামান্য কম-বেশি হতো, তাহলেই চাঁদ আর সূর্যের আকার ভিন্ন বলে বোধ হত পৃথিবী থেকে।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৪ কোটি ৯৬ লক্ষ কিলোমিটার। অন্যদিকে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৩,৮৪,৪০৩ কিলোমিটার। এমন কাকতালীয় ঘটনা প্রায় বিরল। সৌরজগতের অন্য কোনও গ্রহের ক্ষেত্রে ঘটেনি। তাই অন্য সমস্ত গ্রহই অনেক ছোট বলে মনে হয় পৃথিবী থেকে।
এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও একটি মজার বিষয় জোয়ার-ভাটা। হিসেব বছরে চাঁদ প্রতি বছর প্রায় এক ইঞ্চি করে সরে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। অতীতে চাঁদ পৃথিবীর এত কাছে চলে এসেছিল যে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলেছিল। চাঁদ যেভাবে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তাতে অনুমান করা যায় আজ থেকে প্রায় ৫০ কোটি বছর পর চাঁদ এত দূরে থাকবে যে গ্রহণ অনেক কম দেখা যাবে।
