জানা যায়, আলো-আঁধারে মোড়া দীর্ঘ এই পথ বরফে ঢাকা থাকে। একা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না সেখানে। কোনও দল নিয়েই একমাত্র সেই সড়কে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়। সেই সড়কটির নাম ‘ই সিক্সটি নাইন’। এটি নরওয়েতে।
উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে যাওয়া পৃথিবীর শেষ রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। এখানে একদিকে যেমন ভয়ানক গতিতে বাতাস বয়, তেমনই থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা। গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আবার সমুদ্র উপকূলে হওয়ায় যে কোনও সময় ঝড় ওঠে সেখানে। তুষারপাত বা বৃষ্টি হলে আবার গাড়ি চালানো ভয়ানক বিপজ্জনক।
advertisement
আরও পড়ুন- বর্ষায় ঘরে ঢুকে পড়ছে সাপ? এই ৪ ঘরোয়া জিনিসেই মোক্ষম কাজ দেবে, লেজ তুলে পালাবে সাপ!
এই রাস্তায় দিনরাতের হিসাবও সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে শীতকালে ছয় মাস অন্ধকার থাকে এবং গ্রীষ্মকালে সূর্য একটানা দেখা যায়। এখানে শীতে দিন নেই আর গ্রীষ্মে রাত নেই। এখানে বছরের ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাত থাকে। এই এলাকার তাপমাত্রা শীতকালে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি এবং গ্রীষ্মে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে।
ই-৬৯ পেরোতে গেলে পাঁচটি টানেল পেরোতে হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলটির নর্থ কেপ। আর এর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। এটি গিয়ে পৌঁছোয় সমুদ্রতলের প্রায় ২১২ মিটার নিচে। এই পথ দিয়ে গেলে দু’পাশে নজরে আসবে অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। সঙ্গে থাকবে সমুদ্র ও বরফ। ১৯৩০ সাল নাগাদ নরওয়ে সরকার ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির কাজ শুরু করে। পরে ১৯৩৪ সালের দিকে পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করে।
রহস্যে ঘেরা এই রাস্তা ভ্রমণপিপাসুদের অজানাকে জানার নেশা আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় এই আশ্চর্যজনক সড়ক দেখতে যান।