সারা বিশ্বের খনিজ তেলের ভাণ্ডারের ৬ শতাংশের মালিক এই পরিবার৷ ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব এবং একাধিক বিশ্বখ্যাত সংস্থার শেয়ারও তাঁদেরই নামে মালিকানাধীন৷ গায়িকা রিহান্নার প্রসাধনী ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে এলন মাস্কের স্পেস এক্স-সব জায়গাতেই তাঁদের শেয়ার রয়েছে৷
এই পরিবারের সদস্য শেখ হামাদ বিন হামদান আল নাহইয়ানের গাড়ির সংখ্যা ৭০০-র বেশি৷ তাঁর গাড়িশালে পর পর সাজানো আছে পৃথিবীর বৃহত্তম এসইউভি, ৫টি বুগাত্তি ভেরঁ, একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেন্টন, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর, একটি ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স এবং ম্যাকল্যারেন এমসি ১২৷
advertisement
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে একাধিক প্রাসাদ আছে এই পরিবারের৷ সেগুলির মধ্যে তাঁদের নিয়মিত বাসভবন হল আবুধাবিতে কাসর আল ওয়াতন প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস৷ ৯৪ একর জমিতে বিস্তৃত এই প্রাসাদের বৈশিষ্ট্য এর গম্বুজ৷ প্রাসাদে সংরক্ষিত অসংখ্য ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের মধ্যে অন্যতম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার স্ফটিকে তৈরি ঝাড়লণ্ঠন৷
প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়াদ আল নাহইয়ানের ভাই তাহনাউন বিন জায়েদ আল নাহইয়ান পরিবারের প্রধান বিনিয়োগ সংস্থার দেখাশোনা করেন৷ গত ৫ বছরে এই সংস্থার বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৮ হাজার শতাংশে৷ বর্তমানে ২৩৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই সংস্থার অধীনে আছে কৃষি, শক্তি, বিনোদন এবং সমুদ্র সংক্রান্ত বহু ব্যবসা৷ তাঁদের অধীনে কর্মরত রয়েছেন অগণিত কর্মী৷
আরও পড়ুন : শীতের দিনে এই ‘বিশেষ’ সময়ে খান রুটি-গুড়! পালাবে সর্দিকাশি, পেটের রোগ
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ছাড়াও প্যারিস ও লন্ডনে তাঁদের নামে আছে বিলাসবহুল সম্পত্তি৷ এই পরিবারেরই এক পূর্বপুরুষের নামে ইংল্যান্ডের অভিজাততম এলাকায় বিস্তৃত জমি ছিল বলে তাঁকে বলা হত ‘লন্ডনের জমিদার’ বা ‘ল্যান্ডলর্ড অব লন্ডন’৷ ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে দুবাইয়ের এই রাজ পরিবারের যা বিত্ত ও সম্পত্তি রয়েছে তা অচিরেই তুলনা করা যায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পদের সঙ্গে৷
আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়াদ আল নাহইয়ানের সংস্থা আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ২০০৮ সালে ভারতীয় মুদ্রায় ২১২২ কোটি টাকায় কিনে নেয় গ্রেট ব্রিটেনের নামী ফুটবল ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-কে৷ বিশ্বের আরও একাধিক নামীদামী ফুটবল ক্লাবের অধিকাংশ মালিকানা রয়েছে এই পরিবারেরই নামে৷