জানা গিয়েছে, হানিমুনে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই মুজফফরপুর থেকে রওনা হয়েছিলেন ওই দম্পতি। পরদিন খবর পাওয়া যায় ১২৫২৪ নিউ দিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক তরুণী। তাঁর স্বামী প্রিন্স কুমার বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। মাস পাঁচেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। প্রিন্সের দাবি, ট্রেনের এসি কামরা থেকে হঠাৎ-ই উধাও হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী কাজলকুমারী। পরে ২ অগাস্ট দিল্লি এনসিআর গুরুগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় কাজলকুমারীকে।
advertisement
আরও পড়ুন– বাতিলের স্তূপে মিলল বাবার পুরনো পাসবুক! ১০ কোটি টাকা পেতে আদালতে ছেলে
প্রিন্স জানিয়েছেন, গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুজফফরপুর থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন তাঁরা। একটি আপার ও উল্টো দিকের একটি মিডল বার্থ পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রিন্স বলেন, ‘এক সময় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সেই স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা।’ তাঁর দাবি কিষাণগঞ্জে ঘুম ভাঙলে তিনি দেখেন নিজের বার্থে নেই কাজল। পাশের বার্থের এক মহিলা জানান কাজল মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে শৌচাগারের গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরেননি।
এরপর কিষাণগঞ্জ জিআরপি-তেই স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন প্রিন্স। শুক্রবার তাঁকে ফের কিষাণগঞ্জ স্টেশনে এসে দেখা করতে বলে হয়েছে, কারণ সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে কাজলকুমারীকে।
Amar Ujala-র খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রামে কাজলের খোঁজ পাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল কিষাণগঞ্জ জিআরপি-র প্রতিনিধি দল। গুরুগ্রাম থেকে কাজলকে নিয়ে শনিবার কিষাণগঞ্জ পৌঁছবে তারা। যেহেতু কাজল নিখোঁজ হয়েছিলেন এই স্টেশন থেকে এবং প্রিন্স এফআইআর-ও দায়ের করেছেন কিষাণগঞ্জ থেকেই, তাই ওই স্টেশন থেকেই কাজলকে তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু কী ভাবে কাজল উল্টো দিকে এতটা পথ চলে গেলেন! সে বিষয়ে কিছু জানা গিয়েছে কি না তা বলতে চায়নি পুলিশ। তবে জানা গিয়েছে, কাজল দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে অন্য অনেক মেয়ে ছিল। তবে কি কোনও নারী পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন কাজল! এখনও সেই বিষয়ে কোনও তথ্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তবে কাজল যে একাধিকবার নিজের বয়ান বদলেছেন সেই ইঙ্গিত মিলেছে। কিষাণগঞ্জ জিআরপি বলছে, কাজলকে নিয়ে আসা হলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।