কিন্তু খুন করে ফেলাই নয়। বরং প্রাক্তন প্রেমিকাকে আরও কী ভাবে ভয়ঙ্কর সাজা দেওয়া যায় তার ছক কষা হয় সব দেশেই। এই যেমন ব্রাজিলে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই খবর। শরৎচন্দ্রের দেবদাস তার প্রেমিকার কপালে ছিপ দিয়ে মেরে দাগ করে দিয়েছিল। আর সাও পাওলোর আঠারো বছর বয়সী এক তরুণীর গালে নিজের নাম খোদাই করে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেমিক। প্রেমে ‘না’ বলার সাজা হিসেবে।
advertisement
আরও পড়ুন-বাংলায় কড়া নাড়ছে বর্ষা, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে
জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের সাও পাওলোর বাসিন্দা ১৮ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বছর কুড়ির যুবক কোয়েলহোর। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কোয়েলহো মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির গালে নিজের নামের ট্যাটু করে দেন।
সূত্রের খবর, বিচ্ছেদের পর একদিন ওই তরুণী স্কুলে যাওয়ার সময় কোয়েলহো তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর মুখের ডানদিকে চিবুকের পাশে নিজের নামের ট্যাটু করে দেন। এ দিকে মেয়ের খোঁজে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মা। পুলিশ গিয়ে কোয়েলহোর বাড়ি থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে রেলের কাজে জমি সমস্যা, যে যে প্রকল্পের উদাহরণ দিচ্ছেন রেল আধিকারিকরা
তরুণীর অভিযোগ, কোয়েলহো নিজে একজন ট্যাটু শিল্পী, তাই এর আগেও তাঁর শরীরের নানা জায়গায় নিজের নাম লিখে দিয়েছিলেন তিনি। ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি তরুণী। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোয়েলহো এবং তাঁর বাবা। তাঁদের দাবি, তরুণীর সম্মতিতেই ট্যাটু করা হয়েছে।
ঘটনা যাই হোক, সম্পর্কভঙ্গের পর নিজের মুখে প্রাক্তন প্রেমিকের নাম লিখে ঘোরাটা কতটা অপমানজনক তা জেনেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন কোয়েলহো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর তরুণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন ট্যাটু শিল্পী। তাঁরা জানিয়েছেন মুখের ওই ট্যাটু তুলে দেওয়ার বিষয়ে তরুণীকে সাহায্য করবেন তাঁরা।