এই তথ্য দেখে বারবার চোখ কচলাচ্ছেন নেটিজেনরা। ইন্টারনেটে নিজেদের বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক নেটিজেন লিখেছেন, “৪২ লক্ষ টাকার অর্ডার… কত ক্যালোরি খাবার খেয়েছেন কে জানে?” একজন নেটিজেন তো মুম্বইয়ের ওই ব্যক্তির আয়করের তথ্য জানতে প্যান কার্ডের খোঁজ করেছেন।
এর পাশাপাশি এক নেট নাগরিক বলছেন, “মুম্বই শুধু অর্থনৈতিক রাজধানীই নয়, সেই সঙ্গে ভারতের খাবারের রাজধানীও বটে!” আর একজন হিসাব দিয়ে বলছেন, “একজন ব্যবহারকারী যদি বছরে ৪২.৩ লক্ষ টাকার অর্ডার করে থাকেন, তাহলে হিসাব বলছে তিনি দিনে গড়ে ১১.৫ হাজার টাকার অর্ডার দিয়েছেন। যা অবাস্তব বলেই মনে হয়৷ যদি না তিনি পরিবার/ প্রতিষ্ঠান/ কর্পোরেশন প্রভৃতির জন্য পেমেন্টের একক উৎস হিসেবে তিনি তাঁর কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।”
advertisement
এখানেই শেষ নয়, স্যুইগি রিপোর্টে এটাই একটা মাত্রই শো-স্টপার নেই। আরও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতি সেকেন্ডে ২.৫ প্যাকেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছে ভারত। হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি প্রায় ১ হাজার ৬৩৩টি বিরিয়ানির অর্ডার করেছিলেন। যার অর্থ হল প্রতিদিন ৪টি করে বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন। চমকের এখানেও শেষ নেই।
চণ্ডীগড় অপ্রত্যাশিত ভাবে যেন বিরিয়ানির স্বর্গ হয়ে উঠেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ভারত বনাম পাকিস্তানের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে একটি পরিবার প্রায় ৭০ প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। দেশের আনঅফিসিয়াল বিরিয়ানির রাজধানী হল হায়দরাবাদ। তবে এখানে এক অদ্ভুত ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। এক গ্রাহক রীতিমতো প্রথা ভেঙে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ইডলি অর্ডার করেছেন হায়দরাবাদে।
স্যুইগির আরও বিস্ফোরক তথ্য:
১. বিরিয়ানি সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। টানা আট বছর ধরে স্যুইগিতে মোস্ট অর্ডারড ডিশের তালিকায় রয়েছে এই খাবার।
২. প্রতি ৫.৫ চিকেন বিরিয়ানির জন্য একটি করে ভেজ বিরিয়ানিও জায়গা করে নিয়েছে। শুধুমাত্র ১ জানুয়ারিতেই প্রায় ৪৩০০০০ বিরিয়ানির অর্ডার হয়েছে।
৩. হায়দরাবাদ সেখানে বিরিয়ানির রাজধানী হয়ে উঠেছে। আবার কেকের জন্য সেরা স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। শুধুমাত্র চকোলেট কেকের অর্ডার এসেছে ৮৫ লক্ষ। বিশেষ করে এই চিত্র চোখে পড়েছে মাদার্স ডে-তে। ফলে কেক ক্যাপিটাল-এর তকমা পেয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্য।
৪. স্যুইগিতে প্রায় ২৪.৯ লক্ষ নতুন দোকান বিরিয়ানির অর্ডারের মাধ্যমে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে।
৫. আবার এক ‘স্যুইগি ওয়ান’ ব্যবহারকারী ফ্রি ডেলিভারি, ডিসকাউন্ট এবং অন্যান্য ক্যুপনের মাধ্যমে প্রায় ৬.৯৮ লক্ষ টাকা বাঁচিয়ে দিয়েছেন।