সুরাত টু ব্যাঙ্কক, চার ঘণ্টার বিমান। এর মধ্যেই বিমানের মদের ‘গুদাম’ খালি। গুজরাত সমাচার-এর প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিমানে ৩০০ যাত্রী ছিলেন। এইটুকু সময়ের মধ্যে তাঁরা ১৫ লিটার মদ্যপান করেছেন। উড়ে গিয়েছে ১.৮০ লক্ষ টাকার মদ।
আরও পড়ুন– ব্রাজিলে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা ! দোকানের উপর ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত অন্তত ১০
advertisement
শুধু মদ নয়, প্যাকেট প্যাকেট স্ন্যাক্সও হাওয়া। মদের সঙ্গে খামান, থেপলার মতো জনপ্রিয় গুজরাতি স্ন্যাকসও চুটিয়ে খেয়েছেন যাত্রীরা। মদের মতো স্ন্যাক্সের মজুতও শেষ। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। দেখা যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে গড়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতল।
ভিডিও-এর ক্যাপশনে লেখা, “আজ সুরাত থেকে ব্যাঙ্ককের বিমান চালু হল। যাত্রীরা ফ্লাইটে ১৫ লিটার মদ পান করেছেন। ব্যাঙ্কক পৌঁছনোর আগেই মদের পুরো স্টক শেষ হয়ে যায়। ৩০০ যাত্রী চার ঘণ্টার যাত্রায় ১.৮ লক্ষ টাকার মদ খেয়েছেন। পুরো স্ক্যাক্সও শেষ করে ফেলেছেন।”
যাত্রীদের এমন ‘সুরাপ্রেম’ দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। তবে বিমানে কত মদ ছিল জানা যায়নি। এত মদ্যপান করে কেউ বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন কি না, খোঁজ মেলেনি তারও। তবে এই ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে জোর চর্চা চলছে। নেটিজেনরা ব্যাঙ্গের সুরে বলছেন, “আপনাদের ক্ষমতাকে কুর্নিস।”
গুজরাতে ১৯৬০ সাল থেকে মদ্যপান নিষিদ্ধ। মদ বিক্রির উপরেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন আইনে সুরাপ্রেমীরা অসন্তুষ্ট ছিলেন। আফসোসের শেষ ছিল না। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে কিছুটা ছাড় দেয় গুজরাত সরকার।
গুজরাত সরকার গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক সিটিতে মদ্যপানের অনুমতি দিয়েছে। এটা ভারতের প্রথম ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টার। গান্ধিনগরে তৈরি হচ্ছে। গুজরাত সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক সিটিতে ২১ বছর এবং তার বেশি বয়সীরা মদ্যপান করতে পারবেন। এর জন্য বছরে খরচ পড়বে ১০০০ টাকা।
তবে এর জন্য অনুমতি নিতে হবে। এই অনুমতি আবার দু’রকমের। স্থায়ী এবং অস্থায়ী। অস্থায়ী অনুমতি এক দিনের জন্য দেওয়া হয়। আর স্থায়ী অনুমতি ২ বছেরর জন্য। এর পর আবার অনুমতি পুনর্নবীকরণ করাতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুমতি মিললে ‘ওয়াইন অ্যান্ড ডাউন’ এলাকায় নিশ্চিন্তে মদ্যপান করা যাবে।