TRENDING:

Success Story: ভাইয়ের সঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন বিয়ে, বাবার কীর্তি জেনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এয়ারফোর্সে যোগ হামনার, তারপর...

Last Updated:

Success Story: বিভিন্ন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়ে আজ তিনি আমেরিকান সেনাবাহিনীর এক যোদ্ধা। তাঁর গল্প অনুপ্রেরণা দিয়েছে অনেক মেয়েকেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
অনেক সময়ই আমরা সন্তানদের ওপর আমাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছের কথা না ভেবেই। ফলাফল সবসময়ই যে ভুল হয় তা নয়, তবে কখনও কখনও এতে পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙে যায়। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ২৩ বছরের হামনা জাফরের সঙ্গে। যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর, তখন তাঁর বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাঁকে তাঁর খুড়তুতো ভাইকে বিয়ে করতে হবে। এই সময় বাগদানের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হামনা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তিনি তাঁর নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছিলেন। অবশেষে একদিন বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন হামনা। বিভিন্ন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়ে আজ তিনি আমেরিকান সেনাবাহিনীর এক যোদ্ধা। তাঁর গল্প অনুপ্রেরণা দিয়েছে অনেক মেয়েকেই।
এয়ারফোর্সে যোগ হামনার
এয়ারফোর্সে যোগ হামনার
advertisement

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামনা জাফরের বাবা-মা আমেরিকার মেরিল্যান্ডে থাকতেন, কিন্তু তাঁরা কখনওই আমেরিকান সংস্কৃতি গ্রহণ করতে চাননি। হামনার বড় হয়ে ওঠা এবং সেখানকার স্কুলে পড়াশুনা করার দরুন তিনি নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন। আমেরিকা নিবাসী এই মেয়েক নিজের স্বপ্নের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। একদিন তাঁর বাবা-মা মিলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের পাকিস্তান যেতে হবে। হামনাও বাবা মায়ের সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছোন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই জানা যায় তাঁর বাগদান হয়ে গিয়েছে। স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন তাঁর সেখানেই শেষ।

advertisement

আরও পড়ুন-  সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা, আবহাওয়ার বিরাট বদল বাংলায়

আরও পড়ুন-  বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন

সে সময় হামনা বারে বারে প্রতিবাদ করলেও তাঁর পরিবারকে বোঝাতে পারেননি। তাই একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় তিনি একজন সেনা কর্মকর্তার সহায়তা পান। হামনার অনেক দিন কেটেছে হোটেলে। এদিকে কোভিডের কারণে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তাঁর জমানো টাকাও শেষ হতে থাকে। শেষমেশ হামনার মনে হয় তাঁকে এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। কিন্তু তখনই তাঁর এক বন্ধু ক্লডিয়া বারেরা তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ক্লডিয়া এবং তাঁর স্বামী হামনার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। অবশেষে হামনা মার্কিন বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এবার প্লাস্টিকের যুগ শেষ, বাজার কাঁপাচ্ছে মাটির বাসনপত্র! জেনে নিন দাম
আরও দেখুন

ক্লডিয়া বলেন, হামনা খুবই প্রবল ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন মানুষ। প্রথমে তিনি বিমানবাহিনীতে যেতে পারবেন কি না এই নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল, তবে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা বুট ক্যাম্প শুরু হলে সব জল্পনাকে উড়িয়ে দেন তিনি। হামনা চান তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক এবং তাঁকে নিয়ে গর্বিত হোক, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁরা সাড়া দেননি। হামনা এখনও ক্লডিয়ার পরিবারেই রয়েছেন, যাঁরা তাঁকে কন্যার মতো আগলে রেখেছেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Success Story: ভাইয়ের সঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন বিয়ে, বাবার কীর্তি জেনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এয়ারফোর্সে যোগ হামনার, তারপর...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল