নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামনা জাফরের বাবা-মা আমেরিকার মেরিল্যান্ডে থাকতেন, কিন্তু তাঁরা কখনওই আমেরিকান সংস্কৃতি গ্রহণ করতে চাননি। হামনার বড় হয়ে ওঠা এবং সেখানকার স্কুলে পড়াশুনা করার দরুন তিনি নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন। আমেরিকা নিবাসী এই মেয়েক নিজের স্বপ্নের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। একদিন তাঁর বাবা-মা মিলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের পাকিস্তান যেতে হবে। হামনাও বাবা মায়ের সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছোন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই জানা যায় তাঁর বাগদান হয়ে গিয়েছে। স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন তাঁর সেখানেই শেষ।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন
সে সময় হামনা বারে বারে প্রতিবাদ করলেও তাঁর পরিবারকে বোঝাতে পারেননি। তাই একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় তিনি একজন সেনা কর্মকর্তার সহায়তা পান। হামনার অনেক দিন কেটেছে হোটেলে। এদিকে কোভিডের কারণে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তাঁর জমানো টাকাও শেষ হতে থাকে। শেষমেশ হামনার মনে হয় তাঁকে এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। কিন্তু তখনই তাঁর এক বন্ধু ক্লডিয়া বারেরা তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ক্লডিয়া এবং তাঁর স্বামী হামনার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। অবশেষে হামনা মার্কিন বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
ক্লডিয়া বলেন, হামনা খুবই প্রবল ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন মানুষ। প্রথমে তিনি বিমানবাহিনীতে যেতে পারবেন কি না এই নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল, তবে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা বুট ক্যাম্প শুরু হলে সব জল্পনাকে উড়িয়ে দেন তিনি। হামনা চান তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক এবং তাঁকে নিয়ে গর্বিত হোক, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁরা সাড়া দেননি। হামনা এখনও ক্লডিয়ার পরিবারেই রয়েছেন, যাঁরা তাঁকে কন্যার মতো আগলে রেখেছেন।
