সম্প্রতি কুশলের একটি ট্যুইটে আক্ষরিক অর্থেই ইন্টারনেটে আগুন ধরে গিয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। ট্যুইটে কুশল জানিয়েছেন, মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি ৫ লাখ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪.২০ কোটি টাকা আয় করেছেন। এর পিছনে রয়েছে পরিশ্রম আর ত্যাগ।
advertisement
সব কিছু ত্যাগ করেছেন কুশল। ঘুম, বন্ধুবান্ধব, আড্ডা, পার্টি। ২৩ বছরের একটা ছেলে যা যা করতে পারে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যান না। শুধু ঘাড় গুঁজে কাজ করে গিয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন। তা থেকে শিখেছেন। এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
ট্যুইটে কুশল লিখেছেন, “আমার ২৩ বছর বয়স। বছরে ৪.২০ কোটি টাকার বেশি রোজগার করি। আমার বয়সী ছেলেমেয়েরা যখন পার্টি, আড্ডা বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেতে ছিল, আমি তখন পরিশ্রম করেছি। কোনও অনুষ্ঠানে যাই না। বন্ধুবান্ধব নেই। শুধু কাজ করি। ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স বলে কিছু নেই… আমি নিজেই এই জীবন বেছে নিয়েছি। এরপর যুবসমাজের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি, “আপনি কি স্বপ্ন সত্যি করতে চান? তার জন্য কী করছেন?”
মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সেই পেশাদার জগতে পা রাখেন কুশল অরোরা। এখন তিনি ‘KAP Digital’ নামের একটি মার্কেটিং কোম্পানির মালিক। কুশল বলেছেন, “আমার কোনও ফ্যান্সি ডিগ্রি নেই। কোনও মেন্টর আমায় পথ দেখায়নি। তারপরেও ২১ বছর বয়সে প্রথম কোটি টাকা রোজগার করি। এখনও পর্যন্ত যা করেছি নিজের কোমরের জোরে।”
কুশলের এই ট্যুইট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটজগত। তাঁর হার না মানা জেদের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। কিন্তু অধিকাংশ নেটিজেনরাই ছুঁড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ। তাঁদের মতে, এটা দেখনদারি ছাড়া কিছু নয়। কেউ কেউ আবার এটাকে ‘হাসল কালচার’ আখ্যা দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “আপনি আপনার জীবন যাপন করছেন। তাঁরা তাঁদের মতো করে জীবন কাটাচ্ছে। সবাই কোটি কোটি টাকা রোজগারের স্বপ্ন দেখে না। এসব দেখনদারি বন্ধ করুন।”
এর সপাট জবাবও দিয়েছেন কুশল। তিনি লিখেছেন, “আমি শুধু আমার জার্নিটুকু শেয়ার করেছি। ১৯ বছর বয়সে বাবাকে বলেছিলাম, তোমাকে আর কাজ করতে হবে না। আমি সংসার সামলাব। আমার জীবনের কথা শুনে যদি কারও মনে চাপ পড়ে, তাঁরা আমার কনটেন্ট মিউট করতে পারেন। আমার টার্গেট অডিয়েন্স সেই যুবক-যুবতীরা, যাঁরা অনুপ্রেরণা খুঁজছেন।”