প্রকাশ্যে, দিনের আলোয়, ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে সে ওই ই-রিকশা চালকের মুখোমুখি হল। ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটির চোখেমুখে স্পষ্ট রাগ আর অপমানের ছাপ। প্রথমে চড়, তারপর জুতোপেটা—গণপিটুনির এক ভয়ংকর দৃশ্য।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখছেন? সতর্ক হন! এটিই হতে পারে দ্রুত বার্ধক্য ও অকাল মৃত্যুর লক্ষণ…
মেয়েটি শুধু মারধরই নয়, কলার ধরে তাকে গালাগালিও করছিল। এক পর্যায়ে হাতে পাথর নিয়েও সে তেড়ে যায়। আশেপাশে মানুষজন জড়ো হলেও, ওই যুবকের ওপর ছাত্রীর এই প্রতিশোধকে অনেকেই সমর্থন জানায়। মুহূর্তেই এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়, আর নেটিজেনরা মেয়েটির সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করে।
advertisement
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জনতার হাতে ধরা পড়া ওই ই-রিকশা চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে জল সরবরাহকারী ই-রিকশা চালক হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যে গঙ্গাহাটের ব্রাহ্মণনগরের বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মেয়েটি স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দিনের পর দিন এই যুবকের দ্বারা হেনস্থার শিকার হচ্ছিল। মেয়েটি তাকে সাবধানও করেছিল, কিন্তু সে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত, চরম বিরক্ত হয়ে মেয়েটি এই পদক্ষেপ নেয়।
যদিও মেয়েটি ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা এফআইআর দায়ের করেনি, পুলিশ তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় (শান্তি ভঙ্গের প্রতিরোধ) আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে চালান জারি করে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল যে, নারীদের ওপর চলমান এই ধরনের হেনস্থা কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। যখন আইনি প্রক্রিয়া ধীর মনে হয়, তখন কখনও কখনও এই ধরনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সমাজে একটি বার্তা পৌঁছে দেয়। তবে, নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজের গভীরে বাসা বাঁধা এই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। আপনিও কি এই বিষয়টিকে সমর্থন করেন?