এই উৎসবে অনেক রকমের খাবারের স্টলও বসানো হয়েছে। এখানে বিহার ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের মানুষও নানা স্টল নিয়ে এসেছেন। তবে মেলার একটি ছোট্ট চায়ের স্টল অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করছে। আসলে এই চায়ের স্টলে চিনি বা গুড়ের বদলে নীরা বা খেজুর রসের তৈরি চা পাওয়া যাচ্ছে। অনেক মানুষই এটি পছন্দ করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ কারা? তালিকায় এল ১০ নাম, চোখ সরানো দায়! হৃত্বিক কত নম্বর?
advertisement
বোধগয়া ব্লক এলাকার ইলারা গ্রামের বাসিন্দা ডব্লিউ কুমার এবং তাঁর স্ত্রী পুষ্পা রাজ এই স্টলটি নিয়ে এসেছেন। তিনি খেজুরের রস থেকে উৎপাদিত নানা খাদ্যপণ্য বিক্রি করেন। বোধগয়া মহাবোধি মন্দিরের সামনে এই স্টল রয়েছে। এখানে শুধু খেজুরের রসের উৎপাদিত পণ্যই বিক্রি হয়।
জেলা প্রশাসন এবং বিহার সরকারও তাঁদের নানা সহায়তা করেছে। এই জেলায় ডব্লিউই একমাত্র ব্যক্তি যিনি খেজুরের রস থেকে মিষ্টি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। গত দুই মাস ধরে তিনি চায়ে খেজুরের ব্যবহার শুরু করেছেন এবং বৌদ্ধ উৎসবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরের তেল চিটচিটে ন্যাকড়া না কেচে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন? শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে!
ডায়াবেটিস রোগীরাও পান করতে পারেন এই চা
বৌদ্ধ উৎসবে আগত পর্যটক ও দর্শক ছাড়াও অতিথিদের জন্য খেজুর রসের তৈরি চা পরিবেশন করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৫০০ কাপ চায়ের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই চায়ের বিশেষত্ব হল ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি পান করতে পারেন। এর দাম প্রতি কাপ ১৫ টাকা।
ডব্লিউ এবং তাঁর স্ত্রী গত ২ বছর ধরে খেজুরের রস থেকে মিষ্টি তৈরি করছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও তাঁর মিষ্টি খেতে গ্রামে পৌঁছেছেন। উল্লেখ্য, যে খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে বিহারের গয়া জেলা শীর্ষে রয়েছে। ২০২৩ সালে এই অঞ্চলে ২০ লক্ষ লিটারেরও বেশি খেজুরের রস উৎপাদিত হয়েছিল।
চা তৈরির পদ্ধতি
এই চা সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে দোকানদার ডব্লিউ কুমার বলেন যে, আমরা যেভাবে সাধারণ চা তৈরি করি তাতে চিনি বা গুড় ব্যবহার করা হয়। এতে চিনি বা গুড় ব্যবহার না করে তিনি দুধে শুধু খেজুরের রস, চা পাতা ও এলাচ যোগ করেন। মানুষ এই চা খেতে খুব পছন্দ করছে।
স্বাদের পাশাপাশি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। অজয় পাসওয়ান, এই চায়ের এক গ্রাহক জানিয়েছেন যে, তিনি প্রতিদিন মহাবোধি মন্দিরের সামনে তাঁদের স্টলে আসেন চায়ের স্বাদ নিতে। এর স্বাদও ছিল বেশ ভাল এবং চা অতিরিক্ত মিষ্টিও নয়।