কী কী মানার পরামর্শ :
সূর্যগ্রহণ চলাকালীন জল এবং খাবারে তুলসী পাতা এবং দুর্বা ঘাস দিয়ে রাখতে হয়। তাহলে গ্রহণের সময় যে ক্ষতিকারক কিছু তরঙ্গ এবং জীবাণুর সৃষ্টি হয়, তা থেকে খাবারকে শুদ্ধ রাখা যায়। দূরবীন, ক্যামেরার লেন্স, টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহণ দেখবেন। মূলত নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন জোতিষীরা।
১. মনে করা হয় সূর্যগ্রহণের সময় জলের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই জলে তুলসি পাতা দিয়ে রাখা উচিত।
advertisement
২. খাবার-দাবারের ওপরও গ্রহণের প্রভাব পড়ে। তাই গ্রহণ শেষ হওয়ার পর রান্না করে খাওয়া উচিত। অথবা খাবার দাবার থাকলে তাতে তুলসী পাতা রাখা উচিত। আবার গ্রহণের সময় ভোজন না-করার কথাও বলা হয়। কারণ এ সময় হজমশক্তি দুর্বল থাকে।
৩. গ্রহণের প্রভাব হ্রাস করতে গ্রহণ শেষ হওয়ার পর মন্দির ও ঘর পরিষ্কার করা হয়। গ্রহণের সময় মন্দিরে কপাট বন্ধ থাকে।
৪. গর্ভবতী মহিলার ওপর গ্রহণের প্রভাব বেশি থাকে। তাই গ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তা না হলে শিশুর ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. খালি চোখে গ্রহণ দেখলে চোখে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
৬. প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গ্রহণের সময় পশু-পাখির ব্যবহারে পরিবর্তন দেখা যায়।
কোন কাজগুলো না করার পরামর্শ:
গ্রহণ চলাকালীন সময়ে রান্নার বিষয়েও কিছু বিধি নিষেধ মানতে হয়। গ্রহণের পূর্বে রান্না করা খাবার, না খাওয়াই শ্রেয়। এই সময় গর্ভবতী মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে না বেরোন উচিত। খাবারের ক্ষেত্রে বয়স্করা জল অথবা ডাবের জল জাতীয় হালকা খাবার খাবেন। গ্রহণকালে কোন ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। তুলসী গাছ স্পর্শ করবেন না, শ্মশানে যাবেন না, সর্বোপরি খালি চোখে কখনই গ্রহণ দেখবেন না।গ্রহণ সেরে স্নান করে দান ধ্যানও করা যাতে পারে। এই সময় পূজার কাজ বা মাঙ্গলিক কাজ না করাই উচিত।