দীপক, যিনি জেপি কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন, তিনি বহু বছর ধরে অসংখ্য সাপ রক্ষা করেছেন। তার সাহসিকতার জন্য শহরের অনেক মানুষ তাকে সম্মান করতেন এবং ঘরবাড়ি বা খেতখামারে সাপ ঢুকলে তাকে ডাকা হত। কিন্তু এবার সেই উদ্ধার অভিযানই তার জীবনের শেষ অধ্যায় হয়ে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: প্রেমের অমোঘ টান, প্রেমিকের জন্য ৫ বছরের মেয়েকে খু*ন মায়ের! দেহ ব্যাগে লুকিয়ে রাতভর চলল ফূর্তি…
advertisement
দুর্ঘটনার কয়েকদিন আগে দীপক একটি বিষাক্ত কোবরা ধরেছিলেন এবং তাকে একটি কাচের জারে রেখে দিয়েছিলেন। জানা গেছে, তিনি হিন্দু ধর্মীয় শ্রাবণ মিছিলের সময় ঐতিহ্যবাহী প্রদর্শনের জন্য এই কোবরা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার দিন দীপক তার দুই ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় তিনি কোবরাটি নিজের গলায় একটি মালার মতো জড়িয়ে নিয়েছিলেন। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পথচলতি ব্যক্তি দীপককে মোটরবাইকে কোবরা জড়িয়ে যেতে দেখে ভিডিও করে ফেলেন। সেই ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
কিন্তু সেই ভিডিও ধারণের কিছুক্ষণ পরই ঘটে বিপত্তি। কোবরাটি দীপককে ছোবল মারে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়, কিন্তু বিষক্রিয়া এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।
দীপক রেখে গেলেন দুই কিশোর সন্তান – ১৪ বছরের চিরাগ এবং ১২ বছরের রৌনক। তাদের মা আগেই মারা গিয়েছেন। এখন এই দুই ছেলেই একেবারে একা হয়ে পড়ল। দীপকের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনা ছিল, যা সময়মতো সতর্কতা নিলে এড়ানো যেত।