গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্কের নাম ‘মিল এন্ডস পার্ক’। এটি রয়েছে আমেরিকার ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে। পার্কটি এতই ছোট যে তাকে একটি টব-ও বলা চলে। সেখানে মাত্র একটিই গাছ লাগানো যায়। তবে এই পার্কের ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরও পড়ুন: ‘অমৃত ভারত’ ‘বন্দে ভারত’-এর থেকে ঠিক কতটা আলাদা? নতুন ট্রেনে রয়েছে বিরাট চমক
advertisement
১৯৪৮ সালে এই পার্কটিকে একটি সিটি পার্ক হিসাবে গণ্য করা হতে শুরু হয়। ১৯৭৬ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ এটিকে সবচেয়ে ছোট পার্কের মর্যাদাও দেওয়া হয়। এই পার্কটি মাত্র ২ ফুট চওড়া এবং এর মোট এলাকার পরিমাণ ৪৫২ বর্গ ইঞ্চি।
জানা যায়, ১৯৪৬ সালে ডিক ফাগান নামে এক ব্যক্তি এই পার্ক তৈরি করেন। ডিক ফাগান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ওরেগন ফিরে এসে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর অফিসের সামনের রাস্তায় একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছিল। আসলে সেখানে বৈদ্যুতিক আলোর খুঁটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেখানে খুঁটি লাগানো না হওয়ায় ডিক একটি গাছ লাগিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ব্লাড সুগারের মহৌষধ এই ৩ পাতা! খেলেই দৌড়ে পালাবে ডায়াবেটিস, জানুন চিকিৎসক কী বলছেন
ডিক সেই সময় ‘মিল এন্ড’ নামে একটি কলাম লিখতেন সংবাদপত্রে। এই কলামে শহরের বিভিন্ন পার্ক নিয়ে প্রতিবেদন লিখতেন, সেখানে কী অনুষ্ঠান হচ্ছে তার তথ্য দিতেন। এই পার্কের তথ্যও দিতে থাকেন। তিনি এটির নামকরণ করেন এবং এটিকে সবচেয়ে ছোট পার্ক হিসেবে তুলে ধরেন। এই পার্কটি সেন্ট প্যাট্রিক দিবসে উৎসর্গ করা হয়েছিল। আসলে ফাগান নিজে একজন আইরিশ ছিলেন।
ফাগানের লেখায় উঠে আসে আইরিশ গল্পের কাল্পনিক চরিত্র লেপ্রেচাউনদের কথা। তিনি বলতেন এই ছোট্ট পার্কে আসে লেপ্রেচাউনেরা। ১৯৫৯ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত চলে এই লেখালিখি। আসলে লেপ্রাচাউনেরা খুবই খর্বাকৃতি।
ফাগানের মৃত্যুর পরেও মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে, এই পার্কে প্রজাপতি, শামুক ইত্যাদির প্রাণীরা আসে, তাদের দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। পার্কটি ঠিক আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। ২০০৬ সালে কিছু কাজের জন্য পার্কটি কয়েক দিনের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।