জানা গিয়েছে, বিয়ের আগের রাতে হবু বর, কনের বাড়িতে এসেছিলেন। স্থানীয় মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর-কনে রাতে একঘরেই ছিলেন। সকালে কেউ বাইরে না আসায় বাড়ির সদস্যরা দরজা খুলে দেখেন এই কাণ্ড।
advertisement
খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটির জামাইবাবু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এসপি (দক্ষিণ) প্রভীন রঞ্জন সিং জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বারগাদিয়া গ্রামের গুড্ডুর (২৫) সঙ্গে মিঠোরা গ্রামের রুচির (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গুড্ডু পেশায় দিনমজুর। প্রায়ই রুচির বাড়িতে যেতেন। দুই পরিবারই তাঁদের সম্পর্কের কথা জানত। বিয়েতেও মত দিয়েছিলেন তাঁরা। মৃত যুবকের মামা সুনীল জানিয়েছেন, ‘সিএম সমূহিক বিবাহ’ প্রকল্পের আওতায় গুড্ডু ও রুচির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণে প্রশাসন বিয়ে পিছিয়ে দেয়।
এরপর গ্রামের স্থানীয় মন্দিরেই তাঁদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সুনীল জানিয়েছেন, বুধবার রাতে গুড্ডু রুচির বাড়িতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে যখন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ির লোক রুচিকে ডাকতে গিয়ে দেখে, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কোনওরকমে দরজা খোলেন তাঁরা। তখনই নজরে আসে, মেঝেতে দু’জনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের লোক জড়ো হয়ে যায়। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি পোস্টমর্টমের জন্য পাঠায়।
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দুই-তিন দিন আগে রুচির জামাইবাবুর সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়েছিল গুড্ডুর। আসলে বিয়েতে তাঁর মত ছিল না। তাঁদের অভিযোগ, দু’জনের হত্যার পিছনে জামাইবাবুর হাত রয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন এএসপি (দক্ষিণ) প্রভীন রঞ্জন সিং এবং মহমুদাবাদ সিও সতীশ চন্দ্র শুক্লা। ফরেনসিক দলও যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এএসপি জানিয়েছেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।