এই ঘটনাটি আমাদের শিশু বয়সের কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ছোটবেলায় আমরাও স্কুলের কাছে বইয়ের দোকানে এবং লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে থাকতাম। লাইব্রেরিতে পছন্দমত বই তুলে নিয়ে পড়তে বসে যেতাম। পড়া হয়ে গেলে ফেরত দিয়ে দিতাম হাসি মুখে। গল্পের বইয়ের সঙ্গে তাই ছোটদের সম্পর্ক চিরকালীন। গল্পের বই ছাড়া শৈশব ভাবা যায় না। হ্যারি পটার, এনিড ব্লাইটনের রহস্য, পার্সি জ্যাকসন সিরিজ, রাস্কিন বন্ডের লেখা বই, মালগুদি ডেস, চিকেন স্যুপ ফর দ্য সোল সিরিজ বা এমনকি ন্যান্সি ড্রু সিরিজের মতো বইগুলি অনেক ছাত্রদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
advertisement
এমনি একটি বই একটা ছোট বাচ্চা ছেলের খুব পছন্দ হয়েছিল।কিন্তু বইয়ের যা দাম , তত টাকা তার কাছে ছিলনা।
ওয়াকিং বুকফেয়ার এই ঘটনাটি টুইটারে শেয়ার করেছেন। তারা লিখেছে যে ছেলেটি ৪০০ টাকা নিয়ে দোকানে এসেছিল বই কিনতে। কিন্তু তার পছন্দের বইটির দাম ছিল ৬৯৯ টাকা। অতো টাকা না থাকায় ছেলেটির মুখে হতাশা। তার ওই চেহারা দেখে দোকানদারের মন গলে যায় এবং তিনি ৩০০ টাকা ছাড়ে মাত্র ৪০০ টাকাতেই ছেলেটিকে বইটি ধরিয়ে দিয়ে নিজের উদারতার প্রমান দেন। শুধু তাই নয় , তারা ছেলেটির হাসিমুখের ছবিও পোস্ট করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন যে যখন আমরা তাকে ৪০০ টাকাতেই বইটি দিতে রাজি হয়ে যায় , তখন ছেলেটির হাসিমুখটি আমাদের দিন সুন্দর করে তুলেছিল। পোস্টটি এখানে দেখুন -
টুইটারে শেয়ার করা এই ভিডিওটি ৬৭ হাজারেরও বেশি ভিউ এবং ১০০০ এর বেশি লাইকস পেয়েছে। নেটিজেনসরা দোকানদারের উদারতার প্রশংসায় কমেন্ট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে।
একজন লিখেছেন "আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল.. এটা দেখে খুব খুশি! "
এমন অনেক সুন্দর সুন্দর কমনেন্টসে ইউসাররা দোকানদারের প্রশংসা করেন।
শেষে এটা বলা যেতে পারে যে পৃথিবীতে আজ অনেক ভালো মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর।